চিনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে যদিও সঠিকভাবে জানানো হয়নি কীভাবে ভারতে বসবাসকারীরা পাবেন এই চিনা ভ্যাকসিন৷ কারণ এখনও পর্যন্ত চিনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন উপলব্ধ নয় ভারতে৷ ফলে সেই ভ্যাকসিন না নিলে এখনই চিনে যাওয়া আটকে যাবে বহু মানুষের৷
প্রায় ২৩হাজার ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন, যাঁরা মূলত চিনে চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়তে গিয়েছেন৷ লকডাউনের সময় থেকে তাঁর দেশে ফিরে এসেছেন৷ রয়েছেন আরও বেশ কয়েক’শো কর্মী যারা চিনা সংস্থায় কর্মরত, রয়েছেন ভারতে৷ করোনার ফলে আটকে দেশে আটকে পড়েছেন তাঁরা সকলে৷ ভারতীয় দূতাবাসের থেকে বারবার এদের কথা উল্লেখ করে চিনে ফেরানোর আবেদন জানানো হয়েছে৷ আটকে পড়া মানুষও নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে চিনে ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন৷ তবে চিনের থেকে কোনও সদুত্তোর মেলেনি৷ শুধু ভারত নয়, প্রায় ২০টি বিভিন্ন দেশ থেকে এই আবেদন করা হয়েছে, জানিয়েছে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম৷
advertisement
চিনা ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর এবং নিরাপদ৷ তাই চিনে প্রবেশ করতে গেলে এই ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক৷ জানিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান৷ এরই সঙ্গে তিনি জানান যে, চিনা ভ্যাকসিনের উপর আলাদা করে কোনও গুরুত্ব দেওয়া বিষয় নয়৷ তবে আন্তর্জাতিক ভাবে যাতায়াত শুরু আগে গণ টিকাকরণের উপর জোর দিচ্ছে চিন৷
তবে এখনও চিনা ভ্যাকসিনে সম্মতি জানায়নি রাষ্ট্রসংঘ৷ সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়ে মুখপাত্র জানান যে চিনের এই প্রস্তাব খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ তাঁরা দ্রুত আন্তর্জাতিক ভ্রমণের চালু করতে চায়৷ তাই চিনা ভ্যাকসিনে জোর নয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেই চিনের এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি ঝাও লিজিয়ানের৷