আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এমন নয়। তিল তিল করে জমিয়েছেন কয়েক হাজার টাকা। আর তা থেকেই লকডাউন পরিস্থিতিতে দুঃস্থ প্রতিবেশীদের খাবার দিলেন গাজোলের নয়াপাড়ার বাসিন্দা পেশায় ঝালমুড়িওয়ালা গোপাল সাহা। গাজোলের বিদ্রোহী মোড় এলাকায় রাস্তায় ঠেলা গাড়িতে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। দৈনিক কখনও তিন-চারশো টাকা করে লাভ হয়। বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান সহ তিনজনের পরিবার। ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালানোর পর, কিছু টাকা সঞ্চয় করেছেন তিনি। সেই টাকা থেকেই দশ হাজারেরও বেশী খরচ করে এলাকার দুঃস্থদের চাল, ডাল, আলু, সাবান তুলে দিলেন গোপালবাবু।
advertisement
সবমিলিয়ে শতাধিক দুঃস্থ পরিবারের খাবারের যোগান দিলেন এই বড় মনের মানুষটি। তাঁর দেওয়া ত্রাণ সংগ্রহ করতে গাজোলের নয়াপাড়া এলাকায় লম্বা লাইন পড়ে। গরিব হয়েও যে ইচ্ছে থাকলে গরিবের পাশে দাঁড়ানো যায়। সেই দৃষ্টান্তই রাখলেন এই গরিব ঝালমুড়িওয়ালা। তাঁর কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে খুশি দুঃস্থ পরিবারের সদস্যরা। তাঁর ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও।
কবে লকডাউন উঠবে তাঁর অপেক্ষায় প্রতিদিনই নিজের ঝালমুড়ি বিক্রির ঠেলা গাড়িটি স্বযত্নে ঝাড়পোছ করেন গোপাল সাহা। যখন নিয়মিত রোজগার ছিল তখন বেশিরভাগ মাছ, ভাত খেয়েই দিন কাটত। আর এখন করোনা পরিস্থিতি দেখে নিজের খাদ্যাভ্যাসেও বদল এনে বার্তা দিয়েছেন গোপালবাবু। লকডাউন শুরুর পর এখন নিজেও বেশীর ভাগ সময় ডাল,ভাত,আলু সেদ্ধ খেয়ে ব্যয় সংকোচে জোর দিয়েছেন। আর নিজের কষ্টার্জিত টাকায় শতাধিক পরিবারের মধ্যে অকাতরে খাবার তুলে দিয়ে খুশী দরিদ্র ঝালমুড়িওয়ালা। অনেকেই আর্শীবাদ দিয়েছেন। তাই সুযোগ পেলে ফের গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। এমনই ভাবনা তাঁর।
Sebak Deb Sharma