AIIMS পরিচালক ডা: রণদীপ গুলেরিয়া (Dr Randeep Guleria) বলেন, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিশু যারা দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় সংক্রামিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ছিল অন্যদিকে স্বাস্থ্যবান শিশুরা ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন ছাড়াই হালকা অসুস্থ হওয়ার পর পুনরায় সুস্থ হয়ে ওঠে।
ডাঃ ভিকে পাল (Dr VK Paul) বলেন যে, এটি অনিশ্চিত যে কোনও তরঙ্গ বিশেষত শিশুদের উপরেই প্রভাব ফেলবে। “এখন অবধি, শিশুদের মধ্যে বড়দের মতোই এর অধিকতর প্রভাব দেখা গিয়েছে। যার অর্থ, তারা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই প্রভাবিত।”
advertisement
শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন সরকারী গাইডলাইন এখান:
হালকা সংক্রমণ-
-স্টেরয়েড উপসর্গহীন ও কম উপসর্গযুক্ত রোগীর ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। থেরাপি বা প্রোফিল্যাক্সিসের জন্য অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালগুলি (Antimicrobial) সুপারিশ করা হয় না।
-এইচআরসিটি ইমেজিং (HRCT imaging) ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
-হালকা সংক্রমণে জ্বর বা গলা ব্যাথা সংক্রান্ত সমস্যার জন্য ১০-১৫ mg/kg প্যারাসিটামল ৪ থেকে ৬ ঘন্টার ব্যবধানে দেওয়া যেতে পারে।
মাঝারি সংক্রমণ-
-মাঝারি সংক্রমণের ক্ষেত্রে, অবিলম্বে অক্সিজেন থেরাপি শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
-মাঝারি অসুস্থতায় আক্রান্ত সকল শিশুদের কর্টিকোস্টেরয়েড গুলির প্রয়োজন হয় না।
গুরুতর সংক্রমণ-
-বাচ্চাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক হলে সেক্ষেত্রে, নির্দেশিকাটি মেনে চলুন যদি তীব্র শ্বসকষ্টের সমস্যা হয় তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা শুরু করা উচিত।
-শিশুর অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিলে সেক্ষেত্রে সন্তানের অঙ্গ সমর্থন প্রয়োজন হতে পারে।
-১২ বছরের ঊর্ধ্বের শিশুদের জন্য ছয় মিনিটের হাঁটা পরীক্ষা (6-Minute Walk Test) বেশ কার্যকরী পদ্ধতি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ৬ মিনিট হাঁটার পর শিশুদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপতে হবে। যদি তা ৯৪ শতাংশের নীচে নেমে যায় বা যদি শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যায়, অক্সিজেন স্যাচুরেশন যদি এক ধাক্কায় ৩-৫ শতাংশ নেমে যায়, তাহলেই সেই শিশু হাইপক্সিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তড়িঘড়ি শিশুটিক হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।