খোলামেলা ও সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন বাড়ি অথবা অফিস ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। কারণ যে ঘরে বাতাস সহজে যাতায়াত করতে পারে সেখানে একজনের থেকে আর একজনের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
দেখে নেওয়া যাক হাওয়ায় ভাসমান (aerosols) করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গাইডলাইনে কী কী বলা হচ্ছে-
advertisement
১) সামাজিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক তো আবশ্যিকই। তবে এছাড়া ঘরে যাতে সহজে হাওয়া চলাচল করতে পারে সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এমনকি অফিসেও যাতে বাইরের হাওয়া যাতায়াত করতে পারে সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
২) যে ঘরে বাতাস ঢুকতে পারে না। বিশেষ করে বড় বহুতলে যেখানে সেন্ট্রাল এসি পদ্ধতি চলে সেখানে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে সেন্টার এয়ার ফিল্টারেশন এর ব্যবস্থা করতে হবে যদি জানলা দিয়ে বাতাস চলাচল করার কোনও ব্যবস্থা না থাকে।
৩) বড় অফিস, শপিং মল, অডিটোরিয়াম অথবা বদ্ধ এলাকাগুলিতে গ্যাবল ফ্যান এবং রুফ ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করতে বলা হচ্ছে যাতে ভাইরাস যুক্ত হাওয়া নির্দিষ্ট পথ দিয়ে ঘরের বাইরে বেরোতে পারে।
৪) যেই বাড়ি বা অফিসে ভেন্টিলেশন পদ্ধতি খুব খারাপ সেখানে যাওয়া যতটা সম্ভব কমাতে হবে।
৫) মাস্ক পরার ব্যাপারে অধিক সচেতন হতে হবে। উপসর্গহীন ব্যক্তিও ভাইরাস ছড়াতে পারেন। তাই প্রতিটি ব্যক্তির মুখে যাতে দুটি মাস্ক বা N95 mask থাকে তা দেখতে হবে।
৬) ঘরকে ভাইরাস মুক্ত করতে মাঝে মধ্যেই ডিসইসইনফেকট্যান্ট বা স্যানিটাইজার স্প্রে করতে হবে।
