প্রসঙ্গত, বন্দে ভারত মিশনের মাধ্যমে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ার পথে। প্রথম ধাপে বিশ্বের ১২টি দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। প্রথম সাত দিনে যাঁদের ফেরানো হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই কেরল, তামিলনাড়ু এবং দিল্লির বাসিন্দা। এই তিন রাজ্যে মোট ৩৭টি ফ্লাইট ঢুকেছিল। দ্বিতীয় ধাপে ১৪৯টি ফ্লাইট আসবে। কিন্তু সেই তালিকায় কলকাতা বিমানবন্দরের নাম নেই।
advertisement
এর আগে বৃহস্পতিবার ট্যুইট করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "বিদেশমন্ত্রক আমাদের এটা বিশ্বাস করতে বলছে যে, জর্জিয়া থেকে গুজরাতে আসার আর কিরঘিজস্তান থেকে বিহারে ফেরার প্রচুর মানুষ আছেন। অথচ, কলকাতায় ফেরার কেউ নেই! এই অন্যায় বন্ধ করুন।"
শিক্ষামন্ত্রীর ট্যুইটের পরে পরেই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব পাল্টা ট্যুইটে জানিয়ে দেন, "কেন্দ্র রাজ্যগুলির মধ্যে ভেদাভেদে বিশ্বাসী নয়। আমরা বিদেশে আটকে পড়া ৩৭০০ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, যাঁরা আটকে আছেন এবং ফিরতে ইচ্ছুক, তাঁদের ফেরাতে চাই। তার আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানাতে হবে, ওখানে ওই সব বিদেশ থেকে আসা মানুষগুলিকে গ্রহণ করা এবং কোয়ারেন্টাইনের কী ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা হলে আমরা স্থলপথের সীমান্ত দিয়েও আটকে পড়া বাঙালিদের ফেরত আনব।"
এর পরেই স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে এই কথা যে আগেই জানানো হয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে প্রমাণস্বরূপ, মুখ্যসচিবের দু'টি চিঠিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তার কথায়, "আমরা যথাসময়ে যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রকে পাঠিয়েছি। আবারও তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হল। এ বার আশাকরি তৃতীয় পর্যায়ে এ রাজ্যের আটকে থাকা মানুষদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।"
Shalini Datta