করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমেছে ঠিকই, বেশ কয়েক দিন আগে আগেই রাজ্যে সরকার বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই বিধিনিষেধ চলা কালীন তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই সময় কিছুটা হলেও কষ্টে রয়েছেন ভবঘুরেরা। করোনায় রোগী থেকে অভুক্ত থাকা দিনমজুর , প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে তাদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন সিউড়ির পরিবার welfare socity। নতুন বছর আসতে না আসতেই এসেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যত দিন অতিবাহিত হচ্ছে এই করোনা বিশাল আকার ধারণ করছে তবে বর্তমানে সংক্রামণের হার কিছুটা কম। তবে অনেকেই পাচ্ছেন না হাসপাতালের বেড । তাই আক্রান্ত হয়ে থাকতে হচ্ছে ঘরেই। আর সেই সকল রুগীদের খাবার পৌঁছে দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে পরিবার welfare socity ।
advertisement
তারা সকাল থেকেই লেগে পড়ছে রান্নার তোড়জোড়ে । মাথার ওপর সূর্য উঠতেই বাজার করতে বেরিয়ে পড়ছেন পরিবারের সদস্যরা। আর ঠিক তারপরই একটি নির্দিষ্ট সময় পরিবারের রান্না ঘরে শুরু হচ্ছে রান্না। রান্না শেষ হতেই পরিবারের সদস্যরা ভাগ হয়ে স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন সিউড়ি শহর জুড়ে পরিসেবা দিতে। তা ঠিক সময় মতো পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে করোনা আক্রান্ত দের বাড়িতে। খাবারের মেনুতে থাকছে সব প্রোটিন যুক্ত খাবার । আর এই খাবারের জোগাড় হচ্ছে নিজস্ব ফান্ড থেকে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যে লকডাউন জারি হওয়ায় বন্ধ হয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আরও অনেক দোকান পাট। ফলত যারা এই জায়গা গুলিতে কাজ করতেন তারা এখন কাজ হারা । নেই কোনও রকম কোনও আয়। ফলত এক প্রকার তাদের থাকতে হচ্ছে প্রায় উপোস। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পরিবারের সদস্যরা ভয় ডর বাদ দিয়ে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। খাবারের ব্যবস্থা করছেন দুঃস্থ দের জন্যও। তারা দিনে রাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে দুঃস্থ মানুষদের খাবারটুকু তুলে দিচ্ছেন। পুর্নিমা রজক নামে এক করোনা আক্রান্তের আত্মীয় জানালেন এই ধরনের পরিষেবা পেয়ে তারা খুশি। পরিবার ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির সেক্রেটারি সম্রাট হাজরা জানিয়েছেন তারা এই ধরণের পরিষেবা প্রথম থেকেই দিয়ে আসছেন৷ যতদিন এই বিধি-নিষেধ চলবে তারা একই রকমভাবে পরিষেবা দেবেন।
