ভারত বায়োটেকের প্রধান ডক্টর রাচেস এল্লা (business development and international advocacy head) জানান, ‘গত বছর থেকেই আমরা টিকা উৎপাদনের ওপর নজর দিয়েছিলাম। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। আগামী জুন মাস থেকেই কোভ্যাক্সিনের শিশুদের ট্রায়াল শুরু হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, "শিশুদের পাশাপাশি গর্ভবতী ও যে সব মায়েরা স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাঁদের জন্য আলাদা ট্রায়াল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তাতে যদি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না দেখা দেয়, তাহলে সকলকেই টিকা দেওয়া হবে। "
advertisement
ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে সংস্থার প্রধান রাসেস জানান, "পরিশ্রম সফল হয়েছে। কোভ্যাক্সিন করোনা সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করছে।মানুষের প্রাণ বাঁচছে, এটাই প্রাপ্তি। ভ্যাকসিনটি আইসিএমআরের সহয়তায় তৈরি করা হয়েছে।" দিল্লির এইমস হাসপাতালে, পাটনা এইমস হাসপাতাল সহ একাধিক জায়গায় করা হবে সেকেন্ড ও থার্ড ফেজের ক্লিনিকাল ট্রায়াল। জুলাইয়ের মাঝামাঝি শেষ হবে ক্লিনিকাল ট্রায়াল। সবচেয়ে ছোট ২ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের ওপরে ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হবে বলে জানিয়েছে কোভ্যাক্সিন নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়টেক।
শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়া প্রসঙ্গে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল জানান, শিশুরা করোনা আক্রান্ত হলে, তাঁদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই আবার উপসর্গহীন। শিশুদের মৃদু উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর হার কম। যা একদিকে স্বস্তির।
