স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রেনে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার যে দাবি ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা তুলেছেন, তা অবৈজ্ঞানিক। কারণ তাতে কোনও ভাবেই সামাজিক দূরত্ব রাখা সম্ভব হবে না। আর সামাজিক দূরত্ব ছাড়া করোনা দূরীকরণেরে আর কোনও দাওয়াই গোটা পৃথিবীর কাছেই এ যাবৎ অধরা। এতে তাঁরা তো সংক্রমিত হতে পারেনই, খালি হয়ে যেতে পারে গ্রামকে গ্রাম।
advertisement
স্বাস্থ্য পরিদর্শকরাই বলছেন, করোনা মোকাবিলার কোনও পরিকাঠামোই এখনও গ্রামে নেই। এটা আশির্বাদ যে এখনও গ্রামীণ ভারতকে এই রোগের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫০০০০ ভেন্টিলেটর রয়েছে ভারতের হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন্যে। এর সবটাই শহরে। ফলে গ্রামে যদি অতিমারী ছড়ায় তবে বহু লোককে বিনা চিকিৎসাতেই মরতে হতে পারে। অথচ সেই বিপদই ডেকে আনছিলেন এই পরিযায়ী শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের দাবি ছিল, ট্রেন চালানো হোক অবিলম্বে। তাদের সমস্যার দিকগুলি বিবেচ্য। কিন্তু প্রতিদিন ট্রেন না চালানোর ফলে ভারতীয় রেলের ক্ষতি হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। কাজেই পরিষেবা চালু করাই রেলের একমাত্র উদ্দেশ্য। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ট্রেন চালালে ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ ভয়াল জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে সে কথা মাথায় রেখেই রেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এমনিতেই করোনা মহারাষ্ট্রেক ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবারের এই জমায়েত যেন সেই আগুনেই ঘি। এই অবস্থায় পুলিশ এক দিকে যেমন খতিয়ে দেখছে কোনও গুজবেই এই ঘটনা ঘটল কিনা, তেমনই অসহায় শ্রমিকের ভাতকাপড়ের দায়িত্ব নেবে প্রশাসন-আশা করছেন সমাজকর্মীরা।
