তবে, মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিবৃতি প্রকাশ করে জানান হয়েছে, “করোনা সংকট না মিটলে মন্দিরে ভক্তদের অবাধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে । করোনা মহামারিতে কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশ মানতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছ ।" তবে কোনও ভক্ত মন্দিরে প্রবেশ্য করতে পারবেন না নাকি নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন- জানিয়েছেন জোশিমঠের ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অনিল চানিয়াল । ২৭ জনের মধ্যে প্রধান পুরোহিত ছাড়া ছিলেন মন্দিরের বোর্ড সদস্যরা ।
advertisement
শীতকালে ছ’মাস বন্ধ থাকার পরে এপ্রিলের ২৯ তারিখে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খুলে গিয়েছে । তবে করোনা লকডাউনের জন্য কোনও ভক্তদের সেখানে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি । উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত । সে দিনই তিনি জানিয়েছিলেন, বদ্রীনাথের দরজা ১৫ মে খুলে দেওয়া হবে ।
এমনিতে শীতের সময় মন্দির বন্ধ থাকার কারণে দুই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রাজ্যের বাইরে থাকেন। তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে নিজের জায়গা থেকে উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে রওনা দেন । নান্দেদ (মহারাষ্ট্র) পৌঁছন কেদারনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ভীমশঙ্কর লিং। অন্যদিকে বদ্রিনাথের প্রধান পুরোহিত ঈশ্বরী প্রসাদ নাম্বুদ্রি কেরলের কন্নুর থেকে জোশিমঠ পৌঁছন। এরপর নিয়ম মেনে দু’জনকেই বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনে যেতে হয় । ফলে নির্দিষ্ট সময়ে মন্দির খুলতে হলে প্রধান পূজারিদের অনুপস্থিতিতেই তা খুলতে হত । ফলে পিছিয়ে দেওয়া হয় মন্দির খোলা দিন । যদিও ২৯ এপ্রিলেই খুলে গিয়েছিল কেদারনাথ ধাম ।
এ বছর ২৬ এপ্রিল আরাধনার পর ওমকারেশ্বর মন্দির থেকে পালকিতে চড়ে কেদারনাথের উদ্দেশে রওনা দেয় বিগ্রহ । ২৭ এপ্রিল রাতে গৌরীকুণ্ডে রাখার পর ২৮ এপ্রিল কেদারনাথে পৌঁছয় পালকি। পুজোর পর ২৯ তারিখ সকাল ৬.১০ মিনিটে খুলে দেওয়া হয় কেদারের দরজা । কিন্তু প্রতি বছরের চেনা ছবি এবার উধাও। কোনও পূণ্যার্থী নেই মন্দির চত্বরে। কেদারনাথ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত পূণ্যভূমি৷ মনে করা হয়, অষ্টাদশ শতকে কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ মন্দিরগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য ।