সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই কান্তা প্রসাদকে গৌরবের কাছ থেকে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়। ভিডিওতে বৃদ্ধকে হাতজোড় করে বলতে শোনা যায়, “গৌরব ওয়াসন কোনও চুরি করেনি। ওই ছেলেটা চোর নয়।আমি ওঁকে কোনওদিনও চোর বলিনি। আমাদের তরফ থেকে কেবল একটি ভুল হয়েছে। তাঁর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। জনগনের কাছে আমাদের আবেদন, কোনও ভুল করে থাকলে আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।” ইতিমধ্যে অনেকেই ভিডিওটিতে কমেন্টও করেছেন।
advertisement
এদিকে, অনুদানে পাওয়া কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে সমাজকর্মী তুষান্ত অদলখার পরামর্শ ও সহযোগিতায় একটি দোকান ভাড়া করে ডিসেম্বরে নিজের রেস্তোরাঁ খুলে ফেলেছিলেন আশি বৃদ্ধ কান্তা প্রসাদ। কিন্তু তারপরে কী হল? জানা যাচ্ছে সেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ চালাতে না পেরে আবার পুরনো খাবারের দোকানেই ফিরে এসেছেন ওই বৃদ্ধ।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, "দোকানটার জন্য ভাড়া দিতাম মাসে ৩৫ হাজার টাকা। তিন কর্মচারীর বেতন মোট ৩৬ হাজার টাকা। ইলেকট্রিক আর জলের বিল ১৫ হাজার টাকা। আর তার উপর রান্নার জিনিস কেনার খরচ। সব মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হত। কিন্তু লকডাউনের কারণে মাসে ৪০ হাজার টাকারও বিক্রি হত না। এর ফলে অনুদানের বেশিরভাগ টাকাই খরচও করে ফেলেছেন কান্তা প্রসাদ। আর তাই ফের পুরনো দোকানেই ফিরে আসতে কার্যত বাধ্য হয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। সেই দোকান চালাচ্ছেন আবার পুরনো মেজাজে। তবে এবার তারই ফাঁকে ক্ষমা ভুল বোঝাবুঝির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন সেই ইউটিউবার গৌরবের কাছেও।
২০২০ সালের শুরুর পর থেকেই করোনা ভাইরাসের আক্রমণে জর্জরিত দেশের অর্থনীতি। কাজ খুইয়েছেন বহু মানুষ। কারও কমেছে দৈনিক ও মাসিক আয়। ব্যবসা বাণিজ্য থেকে পর্যটন সব ক্ষেত্রেই ধস নেমেছে। তবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। পরের পর লকডাউন, দীর্ঘ সময় ঘরবন্দি মানুষ। তাই কান্তা প্রসাদের মত বহু দোকানেই খদ্দেরের অভাবে ঝাঁপ পরে গিয়েছে একের পর এক। জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। তবে একই সঙ্গে ধরা পড়েছে আলোর ছবিও। অনেকেই উদ্যোগ নিয়েছেন এঁদের পাশে দাঁড়ানোর। এগিয়েছে এসেছেন সোনু সুদের মত তারকারাও। একটু একটু করে খুলেছিল রেস্তোরাঁ, পথ চলতি খাবারের দোকান। কিন্তু এই বছর ফের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর ধাক্কা আবার বেশ কয়েকপা পিছিয়ে দিয়েছে দেশের অর্থনীতিকে। কাজ হারিয়ে, আয়ের পথ হারিয়ে আবারও অন্ধকারে একদল মানুষ। বাড়ছে উদ্বেগ।
