Aspergillosis কি?
অ্যাস্পারগিলোসিস একটি সংক্রমণ, অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া বা অ্যাস্পারগিলাস ছত্রাক দ্বারা এই ছত্রাকের বৃদ্ধি হয়। ছত্রাক সাধারণত ক্ষয়িষ্ণু উদ্ভিদ এবং মরা পাতায় বেড়ে যায়। ছত্রাকের এক্সপোজার হলেই অবশ্য এমন নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে অ্যাস্পারগিলোসিস এ আপনি সক্রমিত হবেনই। প্রায় প্রত্যেকেই প্রতিদিনের ভিত্তিতে ছত্রাকের মুখোমুখি হয় এবং কখনই অসুস্থতায় আক্রান্ত হয় না।
advertisement
কাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি?
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কম, করোনা সেরে ওঠার পর তাঁদের দেহে এই ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে। পালমোনারি আস্পারগিলোসিস ইনফেকশনের ফলে করোনা রোগীদের দেহে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
- রোগীকে যখন অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় তখন সেই অক্সিজেন বা জল যদি জীবাণুমুক্ত না করা হয় তাহলে এই ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।
- এই ধরনের ছত্রাক স্টেরয়েড থেকেও ছড়াতে পারে। স্টেরয়েড থেকে সবথেকে বেশি বর্তমানে ছড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। তাই মনে করা হচ্ছে, এই নতুন ছত্রাকটি অনেকটা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতোই কাজ করবে।
সংক্রমণের ফলে কী হতে পারে?
- অ্যাস্পারগিলোসিস ছত্রাকে সংক্রমণ হলে দুর্বলতা বাড়ে,
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে
- ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি হয় এই রোগের সংক্রমণে।
যদিও করোনা রোগীদের দেহে যে আস্পারগিলোসিস ছত্রাক পাওয়া গিয়েছে সেটা কিন্তু একেবারে বিরল। চিকিৎসকেরা বলছেন, আস্পারগিলোসিস ছত্রাকটি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো ততটা মারাত্মক নয় কিন্তু যদি সচেতনতা বৃদ্ধি না করা হয় তাহলে এই ছত্রাকটিও মানুষের পক্ষে একটি মারণ ছত্রাক হিসেবে আতঙ্ক বাড়াতে পারে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, আস্পারগিলাস থেকেই এই নতুন ছত্রাক সৃষ্টি হয়েছে। নতুন ছত্রাকটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে আস্পারগিলোসিস। এই ছত্রাকের আণুবীক্ষণিক বীজ শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে আপনার শ্বাসনালী এবং আপনার ফুসফুসে বাসা বাঁধে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে এবং ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে ও যারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব একটা ভাল না তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ছত্রাক মারাত্মক আকার ধারণ করছে। পাশাপাশি এই সমস্ত মানুষের ক্ষেত্রে কিন্তু ছত্রাকটির আক্রমণের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।