সারাদেশে সাড়ে ৫০০-র বেশি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় প্রবাহে অর্থাৎ রাজ্যে চিকিৎসকদের মৃত্যু গোটা দেশের নিরিখে ১০ শতাংশের বেশি । এই নিয়ে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আরও বেশি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য চিঠি দিয়েছে ।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে । রাজ্যে প্রতিদিনই কমছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা । কিন্তু তা সত্ত্বেও অতিমারীর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছেন অনেকে । যাঁরা প্রতি নিয়ত মানুষকে বাঁচাতে করোনা যুদ্ধে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন, সেই চিকিৎসকদের এ ভাবে চলে যাওয়া সত্যিই বড় উদ্বেগের, একই সঙ্গে আশঙ্কারও । দিন দুয়েক আগেই কলকাতার বুকে মৃত্যু হয়েছিল বছর চল্লিশের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ রেশমি খান্ডেলওয়ালের।
advertisement
দিন কয়েক আগেই ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ নেওয়ার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল সিউড়ি সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অতনুশঙ্কর দাসের। কলকাতার বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ্ব চিকিৎসক দীর্ঘদিন সিউড়িতে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে গত ২১ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইইডিএফ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল চিকিত্সক সুধীন ভট্টাচার্যের। তার আগে করোনা প্রাণ কাড়ে রাজ্যের আরও এক চিকিৎসকের। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় আইএমএ-র বাঁকুড়া শাখার সম্পাদক অশোককুমার চট্টোপাধ্যায়ের। ষাটোর্দ্ধ এই চিকিৎসক ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।
