TRENDING:

লকডাউনে গিয়েছে চাকরি, পেট চালাতে এখন রাস্তায় বসে কলা বিক্রি করছেন স্কুলশিক্ষক

Last Updated:

১৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করার পর গোটা পরিবারের দু’বেলা দুমুঠো ভাত জোটাতে শিক্ষক এখন ফলবিক্রেতা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নেল্লোর: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ লকডাউনের গাইডলাইনের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ছিল লকডাউনে কারোর জীবিকা যেন কাড়া না হয় ৷ এই কয়েকমাসে আয়ের পথ বন্ধ থাকলেও কাউকে যেন চাকরি থেকে তাড়ানো না হয় ৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আর্জি সত্ত্বেও বাস্তব চিত্রটা অন্য ৷ ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় ১৩ কোটি লোক চাকরি হারিয়েছেন বলছে সমীক্ষা ৷ তার মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক পাট্টেম ভেঙ্কট সুব্বাইআহের ৷
advertisement

লকডাউনে কর্পোরেট স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে এখন রাস্তায় রাস্তায় কলা বিক্রি করছেন তেলেগু ও সংস্কৃতের শিক্ষক সুব্বাইআহের ৷ ১৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করার পর গোটা পরিবারের দু’বেলা দুমুঠো ভাত জোটাতে শিক্ষক এখন ফল বিক্রেতা ৷ স্কুল শিক্ষক হিসেবে মাসিক আয় ছিল ১৬,৮০০ টাকা ৷ আনকোরা কলাবিক্রেতার কাছে কলা বিক্রি করে চেয়েচিন্তে ২০০ টাকাও রোজগার করাও এখন খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

advertisement

পাট্টেম ভেঙ্কট জানিয়েছেন, মার্চে লকডাউন ঘোষণা হতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ এক ধাক্কায় বেতন অর্ধেক করে দেয় ৷ এখানেই শেষ নয়, বেতন ৫০ শতাংশ কমানোর পর পরই কয়েকজন শিক্ষককে চাকরি রাখতে বলা হয় কয়েকদিনের মধ্যে নতুন করে ৭-৮ জন ছাত্রকে স্কুলে ভর্তি করাতে হবে ৷ টার্গেট পূরণ না হলে স্কুলের দরজা সেই শিক্ষকের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় ৷

advertisement

চাকরি বাঁচাতে লকডাউনের মধ্যেই ছাত্র ভর্তির জন্য চেষ্টাও শুরু করে দেয় সুব্বাইআহের ৷ কিন্তু সমস্ত চেষ্টাই ব্যর্থ হয় ৷ তিনি জানিয়েছেন, করোনা আতঙ্কের কারণে কেউ তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দিতেই রাজি হয় না, স্কুলে ভর্তি তো অনেক দূরের কথা ৷ সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কোনও নতুন ছাত্র না আনতে পারার কারণে শর্ত অনুযায়ী চাকরি যায় ভাষা শিক্ষককের ৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

শুধু পেট চালানো নয়, পাট্টেম ভেঙ্কট সুব্বাইআহের কাঁধে সাড়ে তিন লাখ টাকা ঋণ শোধ করার চাপও রয়েছে ৷ দুই সন্তানের পিতা সুব্বাইআহের সম্প্রতি চিকিৎসার কারণে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ৷ যার জন্য  মাসে ৮ হাজার করে দিতে হয় তাঁকে ৷ আয় বন্ধ হতেই আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁর মাথায় ৷এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অন্ধ্রে ৷ প্রশাসনের তরফে ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে দেখার আশ্বাস মিলেছে ৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
লকডাউনে গিয়েছে চাকরি, পেট চালাতে এখন রাস্তায় বসে কলা বিক্রি করছেন স্কুলশিক্ষক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল