‘‘আপনি যে নম্বরে ফোন করেছেন সেটি এখন ব্যস্ত আছে। কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন...।’’ কিংবা মোবাইলে ভেসে আসছে আপনি যে নম্বরটি ডায়াল করেছেন সেটি যাচাই করে নিন। অনলাইনে ক্লাস করতে বসে এমনই অভিজ্ঞতা বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের।
লকডাউনে বন্ধ স্কুল-কলেজ। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পড়ুয়াদের ভরসা অনলাইন ক্লাস। স্কুলের প্রজেক্ট তৈরি করা। অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া। বাড়িতে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব চলছিল। ঘূর্ণিঝড় আমফান হঠাৎই ছবিটা বদলে দিয়েছে। গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটির পাশাপাশি ঝড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার টাওয়ার। যার জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। সকাল থেকে অপেক্ষা করে বসে থাকতে হচ্ছে কখন নেটওয়ার্ক আসবে। অথচ ক্লাস থেমে নেই। পড়তে বসে কখনও মোবাইলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথা শোনা যাচ্ছে না, তো কখনও স্কুলের পাঠানো অ্যাসানমেন্ট ডাউনলোড হচ্ছে না। নাকাল অবস্থা পড়ুয়াদের।
advertisement
এরইমধ্যে অনেক স্কুলে আবার ইউনিট টেস্টও শুরু হয়েছে। এই অবস্থা চললে সময়ে কীভাবে সিলেবাস শেষ হবে? চিন্তায় পড়ুয়ারা।
যাদের জিও কানেকশন রয়েছে তারা তাও ক্লাস করতে পারছে। বাকি সার্ভিস প্রোভাইডারদের অবস্থা তথৈবচ।
পড়ুয়াদের সমস্যার কথা ভেবে বাধ্য হয়ে অনেক স্কুল সাময়িকভাবে অনলাইন ক্লাস বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? লকডাউনে একেই স্কুল বন্ধ। তারওপর ইন্টারনেট পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়ায় পড়ুয়া ও অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। দ্রুত সমাধান চাইছেন তারা। ক্যামেরায় সুমন বসু ও বিপুল ঘোষের সঙ্গে ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ি।
