এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অমিত মিত্র বলেন, বিভিন্ন রাজ্য তাদের করের অধিকারের প্রায় ৭০ শতাংশ ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছিল জিএসটি তে যাওয়ার জন্য। বিজেপির তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সময় কিন্তু এই জিএসটি-র বিরোধিতা করেছিলেন। বিরোধিতা করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের তৎকালীন অর্থমন্ত্রীও। পরবর্তীকালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর এই জিএসটি নিয়ে আসার সময় যখন ড্রাফট আলোচনা চলছিল, তখন অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন যে রাজ্যের যে ক্ষতি হবে তার ক্ষতিপূরণ কী ভাবে হবে? তখন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন, যা আর্থিক ক্ষতি হবে রাজ্যগুলিকে পরবর্তী পাঁচ বছরে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হবে। কিন্তু আমাদের দাবি, 'চেষ্টা নয়, জিএসটির ক্ষতিপূরণ মেটাতেই হবে'।"
advertisement
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সংখ্যাধিক্যের মতকে প্রাধান্য দেওয়ার দাবিও জানানো হয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। একইসঙ্গে ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, "কেন্দ্র চাইলে আরবিআই-এর থেকে ঋণ করে রাজ্যের ক্ষতি মেটাতে পারে। কেন রাজ্যগুলোকে বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ঠেলে দেওয়া হল সেই প্রশ্নই রেখেছিলাম আমি। কিন্তু আমার বা আমাদের সব পরামর্শই সরিয়ে রাখা হল।"
জিএসটি কাউন্সিলের রুল বই এর ৮,৯, ২১,সহ বেশকিছু আইন সংশোধন করা হল। কাউন্সিলের সদস্যদের সবাইকে না জানিয়েই এটা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি বলেন, "শেষ বৈঠকে প্রায় ৯/১০ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এই অতিমারির সময় (Pandemic Situation) কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর (Covid-19 Products) উপর করের পরিমান শূন্য করা হোক। সেটা মানা হল না। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এটা করা যেতেই পারত। অন্ততপক্ষে ০.১ শতাংশ ও করা যেত। সেটাও করা হল না।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের আপত্তির পর দেখলাম অ্যাম্বুল্যান্স এর ক্ষেত্রে কর ১৮ শতাংশ টা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হল। এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছি, তার কোনও উত্তর এখনও পাইনি। ওরা কোনও কথা শুনছে না। তাই বাধ্য হয়ে মানুষের দরবারে আমাদের কথা বলছি।"
এদিন কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়েও সরব হন অমিত বাবু। তিনি জানান, চার হাজার ন'শো এগারো কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। আর সব মিলিয়ে সব রাজ্যের পাওনা প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা। কাউন্সিলের বৈঠক নিয়মিত হচ্ছে না বলেও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ তোলেন অমিত মিত্র। তাঁর প্রশ্ন, "জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক করার কথা প্রতি তিনমাস অন্তর। কিন্তু গত অক্টোবর থেকে বৈঠক হয়নি। এতদিন পর বৈঠক হল। মাঝখানে সাত মাস কেন বৈঠক হল না, সেটা কি একটা চিঠি দিয়েও জানানো যেত না?"
------