দুরপাল্লার রুটে যে সমস্ত বেসরকারি বাস চলে তাদের শ্রমিকরা সকাল থেকে বাস পরিষ্কার করলেন। আগামী দিনেও তারা বাস বার করবেন কি না তা নিয়ে সংশয় থেকে গেল। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, শহর ও শহরতলিতে রবিবার প্রায় ৩ হাজার বাস মিনিবাস চলে। কিন্তু আজ, রবিবার জনতা কার্ফুর দিন অবশ্য সংখ্যা কমে দাঁড়ালো প্রায় শূন্য।
advertisement
তপনবাবু জানাচ্ছেন, আমরা কাউকে জোর করিনি। আমাদের ড্রাইভার ও কন্ডাক্টর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা রাস্তায় বাস নামাবেন না। ওরা রাস্তায় বাস নামাতে চাইছিলেন না। ফলে শহরের রাস্তায় জনতা কার্ফুর দিন বেসরকারি বাস চলতে দেখা গেল না। অন্যদিকে দুরপাল্লার যে সমস্ত বেসরকারি বাস চলে, সেগুলিও চলল না রবিবার জনতা কার্ফুতে। বাস সংগঠনের তরফে রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে বাসে তো যাত্রী হচ্ছিল না। রবিবার দিঘা বা মুকুটমণিপুর এমনকী, পুরুলিয়া যাওয়ার ভিড়ও থাকে।
যদিও এই দুরত্বে বাস চালিয়ে তাতে তেলের খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছিল না। অন্যদিকে চালক ও কন্ডাক্টর তারা বাস চালাতে আজ সাহস পাচ্ছেন না । তাই আমরা বাস রাস্তায় নামাইনি। তবে বাস সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, একটা দিন যদি স্পর্শ থেকে দুরে থাকা যায় তাহলে ভালো। এর সাথে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য আগে। তাই আমরা বাস চালাব না। তবে আগামিকাল থেকে বাস চলবে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন সংগঠনের নেতা থেকে ড্রাইভার বা কন্ডাক্টর কেউই। রবিবার কলকাতায় ১০০০ ট্যাক্সি চলবে এমনটাই জানিয়েছিল ট্যাক্সি সংগঠন। যদিও দেখা গেল ট্যাক্সি রয়েছে শহরে ৩০০-র কাছাকাছি। ফলে ভরসা ছিল অ্যাপ ক্যাব। সেটিও রাস্তায় নেই বললেই চলে। আর যে কটি চলেছে তাতে টাকা লেগেছে বেশি। ফলে জনতা কার্ফুতে জনতার জন্য মিলল না কিছুই।
Abir Ghoshal