এদিন বয়রা কালী মন্দিরে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়।পূজার প্রথা মেনেই পাঁচ রকমের মাছ ও পাঁচ রকমের ভাজা, দই,মিষ্টি, সন্দেশ, এবং সব্জি দিয়ে।মন্দির খোলা হলেও সাধারণ মানুষ ভোগ দান এবং ছাগ বলি থেকে বিরতি থাকবে। কমিটি আগামী এক মাস পর করোনা কি পরিস্থিতি হয় তার উপর বিবেচনা করে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে ভোগ দান পর্ব শুরু হবে।প্রায় আড়াই মাস পর মায়ের মন্দির খোলায় খুশি কালিয়াগঞ্জবাসী সহ জেলার মানুষ।
advertisement
দীর্ঘ আড়াই মাস বাবদ কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালীমন্দির বন্ধ ছিল।গতকাল রাতে রীতিনীতি মেনে মন্দিরের গেট ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল।এদিন মায়ের মন্দির খোলার পর থেকে মায়ের কাছে ভক্তদের একটাই প্রার্থনা মা করোনা নামে অদৃশ্য ভাইরাসকে দূরে সরিয়ে মানুষকে শান্তিতে রাখো।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে রাজ্যের সমস্ত মন্দির, মসজিদ, গির্জা বন্ধ ছিলো।সেই মোতাবেক সারা রাজ্যের পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালী মন্দির বন্ধ রাখা হয় প্রশাসনিক নির্দেশ অনুসারে।আজ থেকে ভক্তদের দর্শনার্থে মন্দির খুলে দেওয়া হল।এদিন খোলার আগে পুরসভার পক্ষ থেকে মন্দিরের ভিতরে এবং বাইরে জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়।সামজিক দূরত্ব ভক্তরা বজায় রাখেন তার জন্য মন্দিরের সামনে গোল সার্কেল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে ভক্তরা মায়ের দর্শন করেন। কারণ এই মন্দিরে প্রচুর মানুষ পূজা দিতে মন্দিরের সামনে ভিড় জমান।
মন্দির খুলেও সাধারণ মানুষ ভোগ প্রদান থেকে শুরু করে সব কিছু থেকে বিরত থাকবে।মন্দির খুলে যাওয়ায় খুশি মায়ের ভক্তরা।এদিন মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেব সিংহ,কালিয়াগঞ্জ পৌরাভার প্রশাসক কার্তিক পাল প্রমুখ।উপস্থিত ভক্তদের প্রার্থনা করোনা ভাইরাস নামক অদৃশ্য ভাইরাসে মানুষ যে ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তা থেকে মানুষকে দূরে রাখো।ভক্তদের আশা মা তাদের এই প্রার্থনা অনুযায়ী দেশ থেকে করোনাকে মুক্ত করবে।মায়ের আর্শীবাদেই কালিয়াগঞ্জে খুব বেশী মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।
Uttam Paul