মদের দোকান খুলে দেওয়ার পর থেকেই দোকানে দোকানে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। একাধিক দোকানের সামনে লাইন কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এমনকি বহু জায়গায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রেতাদের মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রেতা সামাজিক দূরত্ব পর্যন্ত মেনে চলেননি। এই করোনা পরিস্থিতিতে এক শ্রেণীর মানুষ সুরক্ষাবিধি শিকেয় তুলে দোকানের সামনে এমনভাবে দাঁড়িয়েছেন, তাতে সামাজিক আচরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, আগামী এক মাস এখনও সচেতন থাকতে হবে। তার আগে এই অবাধ মেলামেশা সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই মদের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের এবার থার্মাল গান দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপার কাজ শুরু হল।
advertisement
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বিমানবন্দরের দিক থেকে বারাসতের দিকে যাওয়ার সময় মধ্যমগ্রাম মোড় থেকে সোদপুর যাওয়ার রাস্তা ধরে এগোলেই মিলবে ওয়াইন শপ। রেল ওভারব্রিজ পেরিয়ে এগোলেই সেখান থেকে লম্বা লাইন। যদিও পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে। আবগারি দফতর এসে মাঝেমধ্যেই দোকানে দেখে যাচ্ছেন। দোকানের তরফ থেকে নিয়োগ করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী। তাঁরাই মাইকে প্রচার করছেন ক্রেতাদের লাইনে কীভাবে দাঁড়াতে হবে। দোকানের সামনে পোস্টার দেওয়া হয়েছে মাস্ক ছাড়া কাউকে দোকানে আসতে দেওয়া হবে না। এবার তার সাথে জুড়ে গেল থার্মাল রিডিং নেওয়া। দোকানের মালিক শেখর ঘটক জানিয়েছেন, "লাইনে যারা দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁদের থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে৷ প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা কী তা আমরা জেনে নিতে চাইছি। সেই কারণেই এভাবে থার্মাল রিডিং নেওয়া হচ্ছে। যদি কারও দেহের তাপমাত্রায় কোনও গরমিল আসে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত পুলিশকর্মীকে বিষয়টা জানাতে পারব। আমাদের আশা এই উদ্যোগে অনেকেই উপকার পাবেন।" এদিকে, শেখর ঘটকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন আবগারি দফতরের আধিকারিকরাও।
ABIR GHOSHAL