TRENDING:

দুর্গাপুজোর ঠাকুর দেখার লাইনকেও হার মানাল সুরাপ্রেমীরা, লকডাউন শিকেয় তুলে দোকানে দোকানে ভিড়

Last Updated:

২২ মার্চ ছিল জনতা কার্ফু। লকডাউন শুরু হয় তার পরের দিন থেকে। তখন থেকে স্তব্ধ জনজীবন। যদিও জরুরি পরিষেবার জন্য খোলা রয়েছে কিছু দোকানপাট। কিন্তু বন্ধ ছিল মদের দোকান।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: হঠাৎ দেখলে মনে হবে যেন দুর্গা পুজোর ঠাকুর দেখার লাইন। কিন্তু এখন তো বৈশাখ মাস ! কয়েক দিন পর কবি গুরুর জন্ম। তা হলে কি অকাল বোধন? অকাল বোধন বলেই মনে হচ্ছিল। দীর্ঘ দেড় মাস লকডাউন থাকার পর সোমবার খুলেছে মদের দোকান। আর লকডাউন শিকেয় তুলে আনন্দে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ।
advertisement

২২ মার্চ ছিল জনতা কার্ফু। লকডাউন শুরু হয় তার পরের দিন থেকে। তখন থেকে স্তব্ধ জনজীবন। যদিও জরুরি পরিষেবার জন্য খোলা রয়েছে কিছু দোকানপাট। কিন্তু বন্ধ ছিল মদের দোকান। লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ে এসে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, সোমবার থেকে খুলবে মদের দোকান। সেইমতো এদিন সরকারের নির্দেশিকা মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে দোকান খোলে। কিন্তু দোকান খোলার অনেক আগে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন বহু মানুষ।

advertisement

বাঘাযতীনে দোকান খোলার অনেক আগে থেকেই লম্বা লাইন পড়েছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে দোকানের বাঁ দিকের লাইন পৌঁছে যায় প্রায় সুলেখা পর্যন্ত। আর ডান দিকের লাইন পৌঁছে যায় প্রায় বাঘাযতীন মোড় পর্যন্ত। এক ক্রেতা বিক্রম দাস বলেন, 'প্রায় তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তার পর দুটো বোতল মিলেছে।' অপর ক্রেতা সজল হালদার বলেন, 'আমি প্রায় দু'ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। শেষ পর্যন্ত পাব কি না, জানি না।'

advertisement

এদিন সকাল থেকে রাস্তায় রাস্তায় লাইন দেখে মনে হয়েছে নামজাদা কোনও প্যান্ডেলের সামনে দুর্গাপুজোর ঠাকুর দেখার লাইন। শুধুমাত্র বাঘাযতীন নয়, রাজ্যের সর্বত্র নজরে পড়েছে একই চিত্র। মদের দোকান খুলতে হামলে পড়েছেন সুরাপ্রেমীরা। ভিড় সামাল দিতে এদিন বহু জায়গায় পুলিশকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার লাঠিও চালাতে হয়েছে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে।

advertisement

SOUJAN MONDAL

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
দুর্গাপুজোর ঠাকুর দেখার লাইনকেও হার মানাল সুরাপ্রেমীরা, লকডাউন শিকেয় তুলে দোকানে দোকানে ভিড়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল