পুরাতন মালদা পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাচামারি কলোনি এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী স্নেহাংশু ভট্টাচার্য। পেশায় স্ট্ক ব্যবসায়ী। নেশা সমাজসেবা (Social Work)। দোতলা বাড়ির ওপর তলায় রয়েছে তাঁর পরিবার। আর নিচেরতলার একাংশকে সেফ হাউসের মতো তৈরি করে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রীতিমতো মশগুল হয়ে পড়েছেন স্নেহাংশুবাবু (Personal House turns Safe Home)। অসুস্থদের জন্য শয্যা, অক্সিমিটার থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা, সময়ে সময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওষুধ খাওয়ানো। সকালের জলখাবার, দুপুর ও রাতের পেটপুড়ে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন স্নেহাংশুবাবু। নিজের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা চালাচ্ছেন অসহায় করোনা রোগীদের। ইতিমধ্যে ওই সহৃদয় ব্যবসায়ীর বাড়িতে থাকা অন্তত চার থেকে পাঁচজন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে নিজেদের বাড়ি ফিরেছেন। আপাতত দু’জন করোনা রোগী রয়েছেন । যাঁদের নিয়ম করে ওষুধ দেওয়া থেকে খাবারের ব্যবস্থা কার্যত একাহাতেই করছেন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি, তাঁর পাশে দাঁডিয়ে নিয়ম করে এক চিকিৎসকও আসছেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের দেখতে। তাঁর এই উদ্যোগ দেখে রীতিমতো হতবাক খোদ রোগীরাই।
advertisement
গত ৩ মে থেকে বাড়ির একটা অংশে করোনা রোগীদের রেখে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করেছেন। রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ কিনে দেওয়া এবং সকালের জলখাবার থেকে দুপুর ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। এই সেফ হাউসে সেবা যত্নে অসুস্থ করোনা রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। ফেরার সময় দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন স্নেহাংশু ভট্টাচার্যকে। ইতিমধ্যে তার এই সেন্টার থেকে পুরাতন মালদা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তালপাড়া এলাকার বাসিন্দা কল্পনা মন্ডল, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাচামারি এলাকার বাসিন্দা গোপাল সাহা সহ বেশ কয়েকজন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন । করোনাকে হারিয়ে অসুস্থদের সুস্থ করছেন, এতেই খুশি স্নেহাংশুবাবু ।
