হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় মহিলার অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্বাভাবিক থাকলেও, পাঁচদিনের মধ্যে তা অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায় এবং তিনি মারা যান। ওএলভি হাসপাতালের গবেষক অ্যানি ভাংকিরবারঘেন জানিয়েছেন, 'করোনা পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে নমুনা সংগ্রহ করে দেখা হয়েছিল কোন ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। সেখানেই প্রথমে ব্রিটেনের আলপা স্ট্রেইন ধরা পরে। এবং একইসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিটা স্ট্রেইনও পাওয়া যায়। অর্থাৎ মার্চের ওই সময় বেলজিয়ামে একসঙ্গে বহু মানুষের শরীরেই করোনার দুই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ঘটিয়েছে। তার মানে, দুই মানুষের শরীর থেকে দুই ধরনের করোনা ভ্যারিয়েন্ট তাঁদের শরীরে বাসা বেঁধেছিল।'
advertisement
বৃদ্ধার তখনও পর্যন্ত করোনার টিকাও নেননি। তবে কী ভাবে দুই ধরনের করোনা ভ্যারিয়েন্টে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। এবং গবেষকদের দাবি, একই সঙ্গে দুই ভ্যারিয়েন্ট থাকার ফলেই এতটা তাড়াতাড়ি মহিলার পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল কিনা তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন।
গত জানুয়ারি মাসে ব্রাজিলের এক বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন, সেখানে দুই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের দুই ভ্যারিয়েন্ট একই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে। সেটি নিয়ে ব্রাজিলেও গবেষণা চালানো হয়েছে। তবে এখনও কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি।