হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার প্রবীর ভৌমিক জানান, বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। দেখা যাচ্ছে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত। গত তিন থেকে চার দিনে ধরে শিশুদের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাহলে কি তৃতীয় ধাপের করোনা আসছে, এই নিয়ে চিন্তিত ডাক্তার মহল। যে হারে ক্রমাগত করোনার উপসর্গ রূপ বদলাছে সেখানেই চিন্তার বিষয় বলে জানান প্রবীর ভৌমিক। প্রসঙ্গতই শিশুদের পরিবারের করোনা পরীক্ষা করা হলে, তারাও করোনা পজিটিভ আসেন। তাঁদেরও চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
advertisement
উল্লেখ্য, শিশুদের করোনা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এবার নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা। বলা হচ্ছে চিকিৎসকরা শিশুদের হাত দেখেই বলে দিতে পারবেন শিশুটি করোনা আক্রান্ত কিনা।
উল্লেখ্য সম্প্রতি করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মূল লক্ষ্য শিশু করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দ্রুত গড়ে তোলা। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশীষ ভট্টাচার্যের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ শুরু করেছে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি। হাসপাতালের বেড বৃদ্ধি, শিশু করোনা রোগীদের চিকিৎসার পরিকাঠামো উন্নয়ন, জরুরি ওষুধপত্র-অক্সিজেন ইত্যাদি মজুত রাখা এইসব বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে এই কমিটি।