মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এদিন ফের একবার করোনা নিয়ে সচেতনতার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, 'করোনা এখনও রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ গিয়েছে, কিন্তু উৎসবের দিন আসছে সামনে। আমাদের প্রত্যেককে কোভিড বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। পুনে, আহমেদনগর, সোলাপুর, সাংলি, সাতারা, সিন্ধুদর্গ, রত্নাগিরি এলাকাকে অনেক বেশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।' রবিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৫৫০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে, ১৫১ জন মারা গিয়েছেন করোনায়।
advertisement
সম্প্রতি করোনার এই সব স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কোন টিকা সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভারতে, তা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। সেই গবেষণায় উঠে এসেছে, টিকার ককটেল অর্থাৎ মিশ্রণই নাকি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সবচেয়ে বেশি কাজে আসছে (ICMR on Cocktail Vaccine)। গত মে-জুন মাসে উত্তরপ্রদেশে এই গবেষণা চালায় আইসিএমআর। সেই গবেষণায় উঠে এসেছে, 'কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ডের মিশ্র টিকার সমীক্ষায় ভাল ফল মিলেছে। এই মিশ্রণ টিকা শুধুমাত্র যে নিরাপদ তাই নয়, করোনার বিরুদ্ধে বাড়তি কার্যকারীও।'
দেশে অনেক জায়গাতেই ভ্যাকসিনের অভাব এবং ভুল বশত কিছু জায়গায় ভারতে দেওয়া হচ্ছে যে দুই ভ্যাকসিন তা একই ব্যক্তিকে দুই ডোজে আলাদা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাকসিনের মিশ্রণ শরীরে ক্ষতির বদলে বরং বেশি কার্যকরী হয়েছে বলেই আইসিএমআরের দাবি উল্লেখ করছে। সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ICMR-এর দাবি, অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিনের সঙ্গে ইনঅ্যাক্টিভেটেড হোল ভাইরাসের টিকার ককটেল শুধু নিরাপদই নয়। অনেক বেশি সুরক্ষিতও।
