শিয়ালদহ এনআরএসে মাসখানেক আগে প্রথম এক প্রসূতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন । সেইসময় স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিভাগ বেশ কয়েকদিন বন্ধ রাখা হয় জীবাণুমুক্ত করার জন্য । এমনকি ওই ঘটনার জন্য বেশ কয়েকজন চিকিৎসক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টাইন করা হয় । এরপরই এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রসূতিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ সুরক্ষার বন্দোবস্ত করেন । বাধ্যতামূলক ভাবে সন্তান জন্মানোর আগে প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা । গত সাতদিনের মধ্যে এন্টালি, বউবাজার এবং ট্যাংরার বাসিন্দা ৩ প্রসূতির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হয় । কারও এক দিনের, কারও দু'দিনের সন্তান । শুক্রবার রাতে করোনা রিপোর্ট আসলে দেখা যায়, তিনজনেরই রিপোর্ট পজিটিভ । শনিবার সকালেই তিন প্রসূতিকে সন্তান-সহ কলকাতা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয় । এদের প্রত্যেকের অবস্থা স্থিতিশীল এবং সুস্থ রয়েছে সদ্যজাতেরাও ।
advertisement
এনআরএস হাসপাতালে প্রসূতির করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও কাউকেই কোয়ারেন্টাইন করার প্রয়োজন হয়নি। কারণ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা আগে থেকেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা গ্রহণ করেছিলেন । তবে স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিভাগের একাংশ আবারও ফিউমিগেশন এবং স্যানিটাইজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । এছাড়াও অপারেশন থিয়েটারও জীবাণুমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এনআরএস হাসপাতালে ডেপুটি সুপার ডঃ দ্বৈপায়ন বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'হাসপাতালে সমস্ত রকম সুরক্ষা কবচ নেওয়া হয়েছে। কোনও রোগী এবং রোগীর আত্মীয়র আতঙ্কের কোন কারণ নেই। আমরা যে কোনওরকমের রোগী পরিষেবা দিতে সম্পূর্ণ রকমের প্রস্তুত।'
ABHIJIT CHANDA