প্রথম দফায় করোনা নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি দেখতে দেখতে রাজ্যে আসা অপূর্ব চন্দ্রের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় দল আইডির দোরগোড়ায় পৌঁছেও ভিতরে যায়নি । রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর মত পার্থক্য হয় পরিদর্শকদের । কিন্তু, দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় দলের দুই সদস্য অর্থাৎ অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের দুই চিকিৎসক অপরাজিতা দাশগুপ্ত ও লীনা বন্দোপাধ্যায়কে রাজ্যের করোনা নিয়ন্ত্রণ মূল্যায়নের ভার দেওয়া হয়।
advertisement
এ দিন হাসপাতাল পরিদর্শনের পর আইডি হাসপাতালের ভিজিটর্স বুকে তাঁরা লেখেন, "পরিষেবা দারুণ । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া মাত্র সব তথ্য তাঁরা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন । রোগী পরিষেবার মানও যথেষ্ট উন্নত ।" আইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা জন্য এবং তাঁদের পরিবারের কোথা ভেবে সকলের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে । এদিন পরিদর্শনের সময় একথা জানার পরে হাসপাতালের এই সিদ্ধান্তকে ব্যাতিক্রমী ভাবনা বলে ব্যাখ্যা করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা । পাশাপাশি, মানবতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে আইডি'র সকলে মিলে কাজ করে চলেছেন, তার প্রশংসা করে ঠিক একইভাবে আগামীতে কাজ করে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তাঁরা । এদিকে, টালিগঞ্জ এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের পরিষেবার মানও আগের থেকে উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দল।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে বেলেঘাটা আইডি'র চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন । কোনও রোগীর সঙ্গে যেমন তাঁরা পরিষেবা নিয়ে আপস করেননি, ঠিক তেমনভাবেই স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয়েও যথেষ্ট যত্নশীল ছিলেন । তার ফল স্বরূপ কোনও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হননি। তবে চলতি সপ্তাহে হাসপাতালের এক নার্স করোনা আক্রান্ত হন । বর্তমানে তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন ।