আর এই হইচইয়ের সবচেয়ে বড় কারণ টোসিলিজুমাব কোনও সাধারণ ইঞ্জেকশান নয়। করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এটি এ জীবনদায়ীই বলা চলে। রোগীর শরীরে সাইটোকাইনিনের ঝড় দেখা দিলে এই ইঞ্জেকশান ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা। এক কথায় বললে, করোনা রোগীর শরীরে যে ইনফ্ল্যমেশান বা প্রদাহ তৈরি হয়, কোষে কোষে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরির বার্তা পৌঁছে দেয় টোসিলিজুমাব। ফলে এই মুহূর্তে এক কথায় তা মহার্ঘ্য। দামও প্রচুর টোসিলিজুমাবের। এক একটি টোসিলিজুমাবের বর্তমান বাজারে দাম ৫০-৫৬ হাজার টাকা। কালোবাজারে এই ইঞ্জেকশান দুই আড়াই লক্ষ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে চুরি যাওয়া ইঞ্জেকশনের বাজারমূল্য কম করে ১০ লক্ষ টাকা।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতাল থেকেই এই ওষুধ চুরি যাওয়ার অভিযোগ একটি অশুভ ইঙ্গিতও বটে। সেক্ষেত্রে সরাসরি কালোবাজারে এই ওষুধ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে কথা হওয়াও শুরু হয়েছে। সামনে এসেছে একটি অডিও, যার সত্য়তা যাচাই করা হয়নি।
উল্লেখ্য টোসিলিজুমাবের পাশাপাশিই বাজারে অমিলের তালিকায় রয়েছে ডক্সিল্যামাইন গ্রুপের ওষুধগুলি। কলকাতা-সহ বহু জেলাতেই দেখা নেই আইভারমেসটিন গ্রুপের ওষুধ। বহু জায়গায় শেষ একমাস অ্যাজিথ্রোমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিক পেতেও অসুবিধে হয়েছে। খাস কলকাতাতেই ভ্যানিশ জিঙ্ক সালফেট বা ভিটামিন-সি সাপ্লিমেন্ট। তার পিছনে অবশ্য কোনও চক্র নয়, বরং অতিচাহিদাই রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ বিক্রেতা।
-ইনপুট অভিজিৎ চন্দ
