কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ মেনেই চলছে ট্রেন। কোভিড ১৯ -এর সতর্কতা নিয়েই চলাচল করছে এই ট্রেন। সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে প্রতিটি যাত্রীর থার্মাল চেকিংয়ের পরই মিলছে ছাড়পত্র। এবং প্রতিটি সিটে একজন করে যাত্রীই বসছে। মানা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। রাস্তায় একাধিক স্টেশন থাকলেও নির্দিষ্ট রাজ্যের স্টেশনেই থামবে এই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। আপাতত ভিন রাজ্য থেকে নিউ জলপাইগুড়িতে আসছে না কোনও ট্রেন, এমনটাই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
advertisement
রবিবার ২১টির মধ্যে ১০টি ট্রেন এসে পৌঁছয় কাটিহার স্টেশনে। পূর্ণিয়া স্টেশনে পৌঁছয় ৭টি ট্রেন। আড়ারিয়া স্টেশনে পৌঁছয় ৩টি ট্রেন এবং ১টি ট্রেন পৌঁছয় কিষানগঞ্জ স্টেশনে। জলন্ধর, কোটা, সুরাট, লুধিয়ানা, ভাদোদরা, আলিগড়, বেঙ্গালুরু সহ আরো কয়েকটি স্টেশন থেকে এসে পৌঁছয় ট্রেনগুলো। এ দিন ২ হাজার ৫০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রী এবং ভিন রাজ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়া যাত্রীরা ফিরেছেন নিজের রাজ্যে। প্রতিটি স্টেশনেই নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাতে অবাঞ্চিত লোক ঢুকে না পড়ে তা নিশ্চিত করতেই আর পি এফ, জি আর পি এবং রাজ্য পুলিশের কড়া পাহাড়া চলছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারীক শুভানন চন্দ জানান, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আরও ৬টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন আসবে বিহারের বিভিন্ন স্টেশনে। পাশাপাশি আরো দুটি ট্রেন ভিন রাজ্য থেকে আসবে উত্তত-পূর্বের ত্রিপুরা এবং মণিপুরে। আজ রাতেই এই ট্রেন দুটি ছাড়বার কথা। এনজেপি স্টেশন ছুঁয়ে ট্রেন দুটি গেলেও দাঁড়াবে না। যাত্রীদের খাবারের ব্যবস্থাও করছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ কেউ চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে আছেন, কেউ পড়াশোনা করতে গিয়ে। আবার কেউ পরিযায়ী শ্রমিকও রয়েছে। তারাও প্রহর গুনছেন ঘরে ফেরার।