অন্যদিকে, কলকাতার দুটি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের ই-মেল করে জানিয়েছে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন মাসের বকেয়া টাকা না দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের আর অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। যা নিয়ে রীতিমত বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও একটি বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকদের তরফ স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যতক্ষণ না পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসছে, ততক্ষণ বকেয়া টাকা বা বেতন দেওয়া হবে না। যদিও স্কুলের তরফে মুখপাত্র সুভাষ মোহান্তি জানিয়েছেন, "অভিভাবকদের ই-মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদেরও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন দিতে হয়। সরকার যাতে ফি না বাড়ানো হয়, সেদিকে নজর দিতে বলেছিল। স্কুলের কোনও ফি বাড়াযন হয়নি।"
advertisement
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন বেসরকারি স্কুলগুলিকে ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে মানবিক হওয়ার আবেদন রেখেছিলেন। যদিও তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোন পরিস্থিতিতেই স্কুল গুলি ফি কমাতে পারবে না। যদি ফি একান্তই কমাতে হয় তাহলে প্রভাব পড়তে পারে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে। বুধবার বিশপ হাউজেই কলকাতার অধীনে থাকা ১১টি বেসরকারি স্কুলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ফি কমানো যায় নাকি, তা নিয়ে আলোচনায় বসা হয়। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত গেমস ফি, লাইব্রেরী ফি ও কম্পিউটার ফি বাবদ ২৫% টাকা মুকুব করা হবে।
বিশপ হাউজ এর অধীনে থাকা লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ, লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লস, প্রাট মেমোরিয়াল স্কুল, সেন্ট থমাস বয়েজ স্কুল খিদিরপুর, সেন্ট থমাস গার্লস স্কুল খিদিরপুর, সেন্ট থমাস চার্চ স্কুল হাওড়া, সেন্ট থমাস ডে স্কুল, ফ্রি স্কুল স্ট্রীট, সেন্ট পলস মিশন স্কুল, সেন্ট জেমস স্কুল, ইউনিয়ন চ্যাপেল স্কুল, সেন্ট জনস ডায়োসেসান গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ক্রাইস্টচার্চ গার্লস হাই স্কুল, দ্য স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল আপাতত ফি মুকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে, শহর কলকাতার দুটি বেসরকারি স্কুলের তরফে টাকা না দিতে পারলে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না মেল পাঠানয় বিতর্ক তৈরি করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই টিউশন ফি ছাড়া অন্যান্য খাতে কেন ফি নেওয়া হবে, তার জন্য অভিভাবকদের তরফে একাধিকবার ই-মেল পাঠানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। উপরন্তু ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বকেয়া ফি জমা দিতে বলা হয়েছে। যদিও অভিভাবকরা অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় না বসলে বকেয়া দেওয়া হবে না।
SOMRAJ BANDOPADHYAY