কাটোয়ার কাশীরামদাস বিদ্যালয়ে তৈরি করা হয়েছে কোয়ারেন্টিন সেন্টার। সেখানেই অন্যান্যদের সঙ্গে রয়েছেন কাটোয়ার মিলপাড়ার বাসিন্দা এক যুবক। সম্প্রতি তিনি মুম্বই থেকে বিশেষ ট্রেনে ফিরেছিলেন। সরকারি নির্দেশ মতো তাঁকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই আতঙ্ক দেখা দেয় অন্যান্যদের মধ্যে।
এই কোয়ারান্টিন সেন্টারে ১২৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। তাদের মধ্যেই একজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপরই তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেয় জেলা প্রশাসন। অন্যান্য শ্রমিকদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এজন্য আলাদা কোয়ারান্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দিকের ভবনে করোনা আক্রান্ত যুবক ছিল সেই ভবন থেকে শ্রমিকদের অন্য ভবনে সরানো হয়েছে।
advertisement
প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলায় নতুন করে কোনও শ্রমিককে এই কাশীরাম দাস বিদ্যালয়ের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা যাবে না। সেজন্যই বাকিদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বাইরের রাজ্যে আটকে পরা আরও অনেক ব্যক্তি এখন নিয়মিত ফিরছেন। তাঁদের অনেকেই কাটোয়ার বাসিন্দা। পুরসভা কর্তৃপক্ষ কাটোয়ার ভারতী ভবন বিদ্যালয়ে নতুন করে পৃথক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার ব্যবস্থা করেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া কেতুগ্রাম মঙ্গলকোটের অনেকেই ফিরছেন ব্যাপকভাবে করোনা আক্রান্ত মহারাষ্ট্র দিল্লি গুজরাট মধ্যপ্রদেশ তামিলনাড়ু এই পাঁচ রাজ্য থেকে। এইসব রাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের বাড়ির কাছের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা। হচ্ছে তাদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।