ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে বহু মানুষ করোনা যোদ্ধার তকমা পেয়েছেন কিন্তু বয়সের পরিপ্রেক্ষিতে করোনা যুদ্ধ জয় করে এবার ভারতে প্রথম নজির গড়লেন হায়দরাবাদের (Hyderabad) ১১০ বছর বয়সী রামানন্দ তীর্থ (Ramananda Theertha) এবং এপি-র শ্রীকাকুলাম (Srikakulam) জেলার (AP's Srikakulam district) ১০০ বছর বয়সী সীতারভাম্মা (Sitharavamma)।
তেলঙ্গানা রাজ্যের হায়দ্রাবাদের গান্ধী হাসপাতালে (Gandhi Hospital) করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন ১১০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। তিনি অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মিরাক্কেল করে দেখিয়েছেন। অন্যদিকে শ্রীকাকুলাম (Srikakulam) জেলায় ১০০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ মহিলা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করে যুব সম্প্রদায়ের কাছে আদর্শ হয়ে উঠেছেন।
advertisement
তীর্থ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ এবং খাবার গ্রহণ করেই করোনার মহামারীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে সমর্থ হয়েছেন। যেহেতু কিছু তরুণ এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে, তাই তাদের উচিত চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। পাশাপাশি, মানসিক শক্তি এবং সাহস নিয়ে একজন কী ভাবে সহজেই করোনার মতো মারণ ভাইরাসকে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হতে পারেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠেছেন ১০০ বছরেরও বেশি বয়সী বৃদ্ধা সীতারভাম্মা।
১১০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা রামানন্দ তীর্থ হায়দরাবাদের নিকটে কেসারা (Keesara) এলাকায় একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন। গত ২৪ এপ্রিল তিনি এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেকান্দারাবাদের গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ রাজা রাও (Dr Raja Rao) বলেন, দীর্ঘ ১৮ দিনের চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যসেবার পরে যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন ওই বৃদ্ধ। রাও আরও যোগ করেন, রামানন্দ তীর্থ হলেন ভারতের সব চেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তি, যিনি করোনার ভাইরাস জয়ে সমর্থ হয়েছেন। এর পর গান্ধী হাসপাতালে চিকিৎসকদের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যেখানে রামানন্দ তাঁর বয়স এবং সুস্থ হয়ে ওঠার পিছনে তাঁর সাহস সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেছেন।
একইভাবে ১০০ বছর বয়সী শ্রীকাকুলাম জেলার মহিলা প্রায় তিন সপ্তাহের মধ্যে করোনার জয় করে রেকর্ড গড়েছেন। হোম কোয়ারান্টিনে থেকেই চলছিল তাঁর চিকিৎসা। সারাওয়াকোটার পিএইচসি স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভার্গব প্রসাদের (Dr Bhargava Prasad) কথায়, এই বৃদ্ধা সম্পূর্ণ সাহসের সঙ্গে করোনাভাইরাসকে পরাস্ত করেছেন।
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী মার্চ ২০২১ সালের মধ্যে ৪৫ বছরের উর্ধ্বেই ৮৮ শতাংশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এবং ৬৫ বছর বয়সী মানুষরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।
