অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "দলে কাকে কী শাস্তি দেওয়া হবে, সেই নিদান দিতে পারেন একমাত্র সুপ্রিমো৷ সৌগতবাবুর কথার কী মূল্য আছে জানি না৷ বরাবরই আমরা বলতে চেয়েছি তৃণমূলের নেতারা চোর৷ সবাই কেন চোর হবেন? সমর্থকরা তো চুরি করেননি৷ তাঁরা তো তৃণমূলকে ভালবেসেছেন৷ পার্থ-অনুব্রতর ঘটনার পর সমর্থকরা অস্বস্তিতে৷ এতে নেতারা ভয় পেয়ে গিয়েছেন৷ তারপর ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব এমন করে যাঁরা হুমকি দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার৷ "
advertisement
আরও পড়ুন - FIFA bans AIFF: ‘‘আমি এই পিটিশন এই জন্যে ফাইল করিনি যে আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই’’ এবার আদালতে ভাইচুং
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে যথেষ্টই চাপে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দুর্নীতির যোগ নিয়ে নানা কথা শুনতে হচ্ছে শাসক দলের নেতাদের৷ প্রতি মুহূর্তেই কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছেন বিরোধীরা৷ তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ৷
আরও পড়ুন: পুজোর আগে আর কত দিন বৃষ্টি চলবে কলকাতা ও অন্যান্য জেলায়, জানুন ওয়েদার আপডেট ও পূর্বাভাস
সৌগত রায় বলেন, 'আমরা সবসময় মানুষের হয়ে কাজ করছি, কিন্তু আমাদের নামে অনেকে কুৎসা করছে৷ আমি তাদের আগে বলেছি, যে আপনারা কুৎসা বন্ধ করুন। যে দোষ করেছে, পাপ করেছে, তার শাস্তি হবে৷ তার বিরুদ্ধে আমরা পার্টি থেকেও ব্যবস্থা নেব। কিন্তু কেউ যদি এই সাহস করে তৃণমূলের সবাইকে চোর বলার, তাহলে তার বিরুদ্ধে কিন্তু আমরা রুখে দাঁড়াবো, তাকে উপযুক্ত শিক্ষাও দেবো। আমরা চোর না হয়ে চোর বদনাম শুনতে পারবো না। আর আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা বা অপপ্রচার সহ্য করব না।' তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, 'এই যে একটা বিষাক্ত আবহাওয়া রয়েছে, সবাই বোধ হয় চুরি করেছে৷ এই বিষাক্ত আবহাওয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷'
প্রসঙ্গত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দু' রকম অবস্থান নিয়ে তৃণমূল৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা হলেও অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়েছে দল৷ সৌগত রায় নিজেও দলের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছেন৷ এর আগেও তিনি বলেছেন, অনুব্রতর বিরুদ্ধে টাকা উদ্ধারের মতো কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি৷ শুধু সৌগত রায় নয়, এর আগে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানোর অভিযোগে সরব হয়েছিলেন৷