রাজ্য মেধা তালিকা থেকে মাত্র দু’নম্বর কম পেয়েছে শ্রাবণী। তাঁর এই অভাবনীয় সাফল্যে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষিকা থেকে শুরু করে শ্রাবনীর পরিবারের সকল সদস্যরা। শ্রাবনীর বাবা পেশায় একজন কৃষক এবং সার বিক্রেতা। কষ্টের পরিবার তাঁদের। কিন্তু, শ্রাবণীর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল সেই ছোট বেলার বয়স থেকেই।
শ্রাবণী বর্মন জানাচ্ছে, “উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই সাফল্যে সে খুব খুশি হয়েছে। খুব ভালো লাগছে তাঁর এই ফলাফলের জন্য। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, প্রাইভেট শিক্ষকরা খুব সহযোগিতা করেছে তাঁকে এই ফলাফল করতে। তবে ছোট থেকেই পড়াশোনা করতে ভালোলাগে তাঁর। এছাড়াও ভালোলাগে সিনেমা দেখতে।
advertisement
তবে খেলাধুলা করতে সে খুব একটা বেশি পছন্দ করত না কোন সময়েই। বাড়ি থেকে স্কুল এবং টিউশন যাওয়া এই টুকুছিল তাঁর বাড়ির বাইরের জীবন। বাকিটা সময় বাড়িতে বসে বই পড়া ছিল তাঁর অন্যতম পছন্দের কাজ। এছাড়াও বাড়ির বিভিন্ন কাজে মাকে এবং বাবাকে সাহায্য করত সে। ভবিষ্যতে সে উচ্চ শিক্ষায় আরোও শিক্ষিত হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চায়। এবং সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়।”
তবে শ্রাবনীর এই সাফল্যের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ননীগোপাল বর্মন জানান, “শ্রাবণীর খবরটি শুনে বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা অত্যন্ত খুশি। অভাবি পরিবারের মধ্যে বড় হয়েও যে এত ভালো সাফল্য অর্জন করা সম্ভব তা শ্রাবণী আরোও একবার প্রমাণিত করে দিল। তবে দু’নম্বর কম না পেয়ে যদি সে বেশি পেতো।
তাহলে মেধা তালিকায় তাঁর নাম থাকতো। তাই শ্রাবণীর নম্বর বৃদ্ধির জন্য স্ক্রুটিনি করা হয়েছে। যদি তাঁর দুই নম্বর বৃদ্ধি পায়। কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় এই ধরনের ফলাফল করার ফলে শ্রাবনীর ওপর সবাই খুব খুশি। অদূর ভবিষ্যতে সে আরও ভালো কোন জায়গায় পৌঁছে যাক এটাই সকলের আশা।”
Sarthak Pandit