কোচবিহার রাজবাড়ির পুরাতত্ত্ব বিভাগের কর্মচারী বিনয় দাস বলেন, "এই মন্দিরের বয়স প্রায় আনুমানিক আড়াইশো বছরের বেশি। হেরিটেজ তালিকায় না থাকলেও এই মন্দির রাজ আমলের তৈরি একটি মন্দির। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থে নিজেদের কার্য সিদ্ধি করতে রাজ ঐতিহ্য ও স্থাপত্যের এই নিদর্শন আস্তে আস্তে ভেঙে ফেলছেন। আমরা ইতিমধ্যেই পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি মন্দিরটিকে বাঁচানোর উদ্দেশ্য।"
advertisement
আরও পড়ুন - Durga Puja 2022: পুজোর উপাচার থেকে উপবাস সবতেই নারকেল অপরিহার্য, রইল সহজ টিপস
এই মন্দির ভেঙ্গে ফেলার বিষয়ে কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন," বিষয়টির খবর ইতিমধ্যেই আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। আমরা প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। দ্রুত জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন - ‘কোহলি- ধোনির পুজো বন্ধ হোক’ - নিদান হাঁকলেন গৌতম গম্ভীর, দাগলেন বড় তোপ
অন্যদিকে এলকার এক স্থানীয় ব্যবসায়ী গোবিন্দ সরকার বলেন, "কে বা কারা মন্দিরটি ভাঙছে আমাদের সঠিক জানা নেই। তবে যেহেতু রাজ আমলের স্থাপত্য তাই অবশ্যই তা রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। আমি জেলা প্রসাশনের কাছে আর্জি জানাবো যাতে এই ঐতিহ্যটিকে সংরক্ষণ করা হয়। এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।" তবে জনসমক্ষে কি করে রাজ আমলের পুরনো প্রাচীন ঐতিহ্য এই আড়াইশো বছরের পুরনো মন্দিরটিকে ভেঙে ফেলার কাজ করা হচ্ছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এছাড়াও মন্দিরটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করার পরেও এখনো পর্যন্ত কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উত্তর শুরু করেছে।
Sarthak Pandit






