পেশায় কলকাতা পুলিশের কর্মরত আড়শা ব্লকের তুম্বা ঝালদা গ্রামের বাসিন্দা শান্তিরাম মাহাতো। অবসরে চাষবাসের মধ্যে দিয়ে সময় কাটান তিনি। তবে গতানুগতিক চাষ ছেড়ে বিকল্প ড্রাগন ফল চাষের দিকে ঝুঁকেছিলেন তিনি আর তাতেই রীতিমতচমকে দিয়েছেন সকলকে। তার বাড়ির উঠানে ও ছাদে রয়েছে শয়ে শয়ে ড্রাগন ফল। বাজারে ড্রাগন ফল সহজলভ্য হলেও পুরুলিয়া জেলাতে সেভাবেই ফলের চাষ হয় না। তাই বিকল্প চাষের পথ দেখাচ্ছেন পুরুলিয়ার শান্তিরাম মাহাতো।
advertisement
আরও পড়ুন: মাসে ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করবেন ? SIP না পোস্ট অফিসের RD? কোথায় কত রিটার্ন পাওয়া যাবে?
এ বিষয়ে শান্তিরাম মাহাতো বলেন, লকডাউন এর সময় তিনি শুনেছিলেন ড্রাগন ফল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রথমে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এলাকার এক শিক্ষকের কাছ থেকে ড্রাগন ফলের চারা নিয়ে আসেন। প্রথমে ছয়টি গাছের চারা নিজের বাড়ির ছাদে লাগান। এরপর সেখান থেকে ভালো ফলন হওয়ার পর নদিয়া জেলার থেকে প্রায় আড়াইশোটির বেশি চারা নিয়ে আসেন। সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিতে বাড়ির ছাদে এই চাষ করেছেন তিনি। এক একটি ড্রাগন ফলের ওজন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম। কম খরচে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে এই চাষ করলে যথেষ্টই লাভজনক হতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সময় খুব কম, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই করুন এই কাজ, নাহলে PAN বাতিল হয়ে যাবে?
পুরুলিয়া জেলাতে ড্রাগন ফলের চাহিদা থাকলেও সেভাবে এই চাষ এই জেলায় হতে দেখা যায় না। বেশিরভাগ মানুষই গতানুগতিক পদ্ধতিতে চাষ করেন। তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম শান্তিরা মাহাতো। ড্রাগন ফল চাষ করে কৃষকদের বিকল্প চাষের রাস্তা দেখিয়েছেন তিনি। তাকে দেখে অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছে এই বিকল্প চাষে করতে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি