তাঁত কিংবা সিল্ক যে কোনও শাড়ির ওপর হাতের তুলির টানে বিভিন্ন ডিজাইন ফুটিয়ে তোলেন তিনি, কোথাও রয়েছে বাঁকুড়ার পোড়ামাটির কারুকার্য, কোথাও বা সিল্কের ওপর শান্তিনিকেতনের ডট আঁজি দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তোলেন তিনি। কোথাও বা মধুবনী নকশা, আবার রবি ঠাকুরের ছবি কিংবা দূর্গা প্রতিমা-সহ বিভিন্ন নকশা ফুটিয়ে তোলেন বিভিন্ন শাড়িতে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাসিন্দা নবকুমার পাল, তিনি ছোট থেকেই ছবি আঁকায় পটু ছিলেন, আর তা থেকেই ধীরে ধীরে তুলির টানে হাতের কারুকাজের দ্বারা শাড়ি, উত্তরীয়, চাদরে আল্পনা আঁকেন তিনি। বর্তমানে তিনি শুধু নিজে না এলাকাবাসীর মানুষকে স্বনির্ভর করেছে।
advertisement
এ বিষয়ে নবকুমার পাল জানান, ‘ছোট থেকেই তুলির প্রতি একটা টান ছিল। শাড়িতে আঁকি-বুকি করেই স্বনির্ভরতার পথ খুঁজে পেয়েছি। অর্ডার অনুযায়ী শাড়িতে নানা রকমের কারুকার্য ফুটিয়ে তোলা হয়। শান্তিনিকেতনী ঘরনার, পাশাপাশি মধুবনী-সহ নানান শিল্প মাধ্যম শাড়িতে ফুটিয়ে তোলা হয়। বর্তমানে সারা দিনে সাত থেকে আটটা শাড়িতে আঁকার কাজ হয়। আমাকে দেখে আশেপাশের মানুষ যেন এই কাজ করে সফল হচ্ছেন।’
মৌচাক থেকে তৈরি করা মধু মোম দিয়েই মোমবাটিক দ্বারা শাড়িতে আঁকিবুঁকি করে তৈরি করা হয় বিভিন্ন নকশা। সেই ডিজাইনের ওপর বিভিন্ন রং-এর দ্বারা তৈরি করা হয় নিত্যনতুন শাড়ি। নিজের দীর্ঘ পুরনো দিনের মাটির বাড়ির বারান্দায় বসে শাড়িতে আল্পনা আঁকেন তিনি, তবে তুলি হাতে তাঁকে সহযোগিতা করেন তাঁর সহধর্মিণী শিবানী পাল। দু’জনের ছোট্ট সংসার, এই মোমবাটিকের কাজেই সংসার চলে তাঁর, এমনকি এই কাজ করেই দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন তিনি। বয়সের ভার তাঁকে থামাতে পারেনি, একটানা বসে সারাদিনে সাত থেকে আটখানা শাড়িতে আঁকিবুঁকি করে আল্পনা আঁকেন তিনি।
সৈকত শী





