কোল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের প্রাথমিক লক্ষ্যও হল এই আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করে দেশে কয়লায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় ভাবে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম তৈরি করা। সেই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার দিকটিও তাঁরা খেয়াল রাখছেন। আদানি গ্রুপ (Adani Group) এবং কোল প্রিপারেশন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (Coal Preparation Society of India) WCA-এর অংশীদার। এরা বিশ্বের কয়লা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির প্রতিনিধি।
advertisement
আরও পড়ুন: অক্ষয় তৃতীয়ায় গয়না কিনলে মিলছে বাম্পার ডিসকাউন্ট, সঙ্গে পাবেন সোনার কয়েনও
২০২১-২২ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা (Economic Survey)-য় দেখা গিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সারা ভারতে কয়লার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ১.৩ থেকে ১.৫ বিলিয়ন টন। যা বর্তমান চাহিদার তুলনায় প্রায় ৬৩ শতাংশ বেশি।
ওয়ার্ল্ড কোল অ্যাসোসিয়েশনের CEO মিশেল মানুক (Michelle Manook) বলেন, ‘কয়লা অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ও পরিবেশ বান্ধব হয়ে উঠতে পারে। পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে সারা বিশ্বের সমস্ত দেশে কয়লা শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকটি মানুষ এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারেন, প্রত্যক্ষ ভাবে বা অপ্রত্যক্ষ ভাবে।’
বর্তমানে কয়লা সঙ্কটের মধ্যে দিয়েই চলেছে দেশ, এমনটা মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। গত সপ্তাহে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা গিয়েছে। আর তার ফলে ভুগতে হয়েছে ছোট শহর আর গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: অনলাইন এই ব্যবসা করে আপনিও হতে পারেন কোটিপতি, জেনে নিন কীভাবে!
সরকারি তথ্য বলছে, ভারতে ১৬৫টি চালু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে ১০০টিতে মজুত কয়লার পরিমাণ কমে গিয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে। আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা।