এই প্রসঙ্গে মাশরুম চাষি অঞ্জন পাত্র জানান, “প্রথমে খড় কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে সেগুলো গরম জলে সিদ্ধ করে শোধন করে নিতে হবে। তারপর একটা পলিথিনের মধ্যে সেই খড় পেতে দিতে হবে। খড়ের উপর দিতে হবে মাশরুমে বীজ, সেই বীজের উপরে আবার খড় এবং তার উপর আবার বীজ দিতে হবে। এরকম তিন থেকে চারটে লেয়ার করে পলিথিনের মুখ বন্ধ করে , বাইরে থেকে পলিথিনের মধ্যে বেশ কিছু ছিদ্র করে দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যে অঙ্কুর বেরোলে পলিথিনের মুখ খুলে দিয়ে তার মধ্যে দিতে হবে বেলে মাটি এবং বালির মিশ্রণ। এরপর থেকে প্রত্যেকদিন সেখানে একবার করে জল দিতে হবে। তিনমাস পর থেকেই পাওয়া যাবে পরিপূর্ণ মাশরুম।”
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরেই এই ব্যবসা করতে পারেন আপনিও, লাভ হবে ভালই !
বস্তা প্রতি মাশরুম চাষে খরচ পড়বে প্রায় নব্বই টাকা। তিন মাস এই মাশরুম পরিচর্যা করতে খরচ পড়বে আরও তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা। মূলত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ এই চাষ শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত চলে এই চাষ। তিন মাসের মাথায় প্রথম ফলন পাওয়া যায়। এই বিষয়ে ওই চাষি আরও জানান, “এই মাশরুমের চাষ কম হওয়ার কারণে ভাল চাহিদা রয়েছে বাজারে। এছাড়াও এই মাশরুম খেতেও সুস্বাদু এবং দামও বেশি।”
পূর্ব বর্ধমানের এই মাশরুম চাষি জানিয়েছেন, এক একটা বস্তা থেকে প্রায় তিন কেজি মিল্কি মাশরুম পাওয়া যাবে। যা পাইকারি দরে বাজারে বিক্রি হয় কেজি প্রতি প্রায় ২০০ টাকা। এবং খুচরো প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজিতে। প্রতি বস্তায় প্রায় ৫০০ টাকার বেশি লাভ করতে পারেন চাষিরা। তবে ঘরের ভিতরের তাপমাত্রার দিকে নজর রাখতে হবে চাষিদের। সব দিক খেয়াল রাখতে পারলে এই মিল্কি মাশরুম চাষই আয়ের পথ দেখাতে পারে বলে জানাচ্ছেন মাশরুম চাষিঅঞ্জন পাত্র।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী