আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপে ব্যাঙ্কের লিক্যুইডিটি বাড়াতে সাহায্য করবে। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার না-ও বাড়াতে পারে। তাই এফডি করার পরিকল্পনা থাকলে আরবিআই-এর মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের (৬ থেকে ৮ জুন) আগেই করা উচিত।
আরও পড়ুন: রিটায়ারমেন্টের জন্য PF তো আছেই! তাহলে NPS কেন প্রয়োজনীয়?
আরবিআই-এর মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের আগেই ফিক্সড ডিপোজিট করার পরামর্শ দিচ্ছেন সেবি নিবন্ধিত কর ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ জিতেন্দ্র সোলাঙ্কিও। তাঁর কথায়, “২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের পর ব্যাঙ্কগুলিতে লিক্যুইডিটি বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে উচ্চ আমানতের হার আশা করা অযৌক্তিক।” আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও আগের মুদ্রানীতি বৈঠকের পর সুদের হার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। এর থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট, এফডি-র উচ্চ সুদের হার দীর্ঘস্থায়ী নয়।
আরও পড়ুন: মাত্র ৪৫ টাকা করে বিনিয়োগ, মেয়াদ শেষে মিলবে ২৫ লাখ রিটার্ন! LIC-র জীবন আনন্দে শুধুই আনন্দ!
মুদ্রা নীতি কমিটির বৈঠকে এফডি-তে সুদের হার কমতে পারে, কারণ ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার পরে ব্যাঙ্কগুলির কাছে ঋণ দেওয়ার জন্যে আরও বেশি টাকা থাকবে।
২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার ফলে ব্যাঙ্ক ডিপোজিটে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন ট্রান্সসেন্ড কনসালট্যান্টসের ডিরেক্টর কার্তিক জাভেরি। তিনি বলছেন, “টায়ার ২ এবং টায়ার ৩ শহর থেকে ২০০০ টাকার নোট বেশি জমা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাঙ্কই বেশি। কাজেই পিএসইউ ব্যাঙ্কগুলিতে লিক্যুইডিটি বাড়বে।” এর পর তিনি যোগ করেন, “আরবিআই ইতিমধ্যেই সুদের হার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে সেই ইঙ্গিতটাই আরও শক্তিশালী হয়েছে।
সুতরাং আগামী সপ্তাহে আরবিআই-এর মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের আগেই এফডি করা উচিত। কারণ ওই বৈঠকের সুদের হার কমানো বা পরিবর্তনের ঘোষণা হতে পারে।” প্রসঙ্গত, ১৯ মে বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে আপাতত আইনি দরপত্র হিসেবে থাকছে।
অর্থাৎ বাজারে লেনদেন করা যাবে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সময় বাজারে মুদ্রার জোগান মেটাতে ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।