রিটায়ারমেন্টের জন্য PF তো আছেই! তাহলে NPS কেন প্রয়োজনীয়?
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- trending desk
Last Updated:
সুরক্ষিত এই বিনিয়োগ মাধ্যমে সুনিশ্চিত রিটার্ন তো মেলেই, সেই সঙ্গে পাওয়া যায় কর ছাড়ের সুবিধাও।
কলকাতা: অবসর পরবর্তী জীবনটা যাতে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানো যায়, তার জন্য বিনিয়োগের সেরা মাধ্যম হল এনপিএস। সুরক্ষিত এই বিনিয়োগ মাধ্যমে সুনিশ্চিত রিটার্ন তো মেলেই, সেই সঙ্গে পাওয়া যায় কর ছাড়ের সুবিধাও। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, অবসরকালীন পরিকল্পনার জন্য কেন এনপিএস বেছে নেওয়া উচিত।
নমনীয় বা ফ্লেক্সিবল:
এনপিএস গ্রাহকরা একটি বিনিয়োগের বিকল্প থেকে অন্য বিনিয়োগের বিকল্প বেছে নিতে পারেন। অ্যাকাউন্টধারীরা বিনিয়োগের জন্য অ্যাকটিভ অথবা অটো মোড বেছে নিতে পারেন।
advertisement
বৈচিত্র্য:
এনপিএস বিনিয়োগকে ডেট এবং ইক্যুইটি- এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। এতে স্থিতিশীলতার সঙ্গে মার্কেট সংক্রান্ত রিটার্ন আয় করা সম্ভব।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র ৪৫ টাকা করে বিনিয়োগ, মেয়াদ শেষে মিলবে ২৫ লাখ রিটার্ন! LIC-র জীবন আনন্দে শুধুই আনন্দ!
সহজ-সরল:
এনপিএস অ্যাকাউন্ট খুললে পার্মানেন্ট রিটায়ারমেন্ট নম্বর (পিআরএএন) পান গ্রাহকরা। এটা একটা অনন্য সংখ্যা। আর এই সংখ্যাটা সারা জীবন গ্রাহকের সঙ্গে থেকে যায়। এই স্কিম দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট দ্বারা গঠিত: টিয়ার-১ অ্যাকাউন্ট এবং টিয়ার-২ অ্যাকাউন্ট। টিয়ার-১ অ্যাকাউন্ট হল অপ্রত্যাহারযোগ্য স্থায়ী অবসরকালীন অ্যাকাউন্ট। আর টিয়ার-২ অ্যাকাউন্ট হল স্বেচ্ছায় প্রত্যাহারযোগ্য অ্যাকাউন্ট।
advertisement
পোর্টেবল:
ধরা যাক, গ্রাহক জায়গা অথবা চাকরি পরিবর্তন করলেন, সেক্ষেত্রে এনপিএস নিয়ে তাঁদের ঝামেলা পোহাতে হয় না। এমনকী অন্যান্য ভারতীয় স্কিমের মতো তা ছেড়ে চলে যেতে হয় না।
ভাল ভাবে নিয়ন্ত্রিত:
এনপিএস-কে নিয়ন্ত্রণ করেন পিএফআরডিএ। বিনিয়োগের স্বচ্ছ নিয়ম, দৈনন্দিন পর্যবেক্ষণ এবং এনপিএস ট্রাস্টের ফান্ড ম্যানেজারদের পারফরম্যান্স রিভিউ দ্বারা চালিত হয়।
advertisement
খরচও খুব বেশি নয়:
প্রতি অর্থবর্ষে গ্রাহকরা কম করে ১০০০ টাকা রাখতে পারেন এই অ্যাকাউন্টে। আর অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে খুবই স্বল্প অর্থাৎ ৫০০ টাকা খরচ করতে হয়।
কম্পাউন্ডিংয়ের ক্ষমতা:
পেনশন সংক্রান্ত সম্পদ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কম্পাউন্ডিংয়ের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অত্যন্ত কম। আর পেনশন সংক্রান্ত সম্পদ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুবিশাল হয়ে যায়।
advertisement
সহজ ব্যবহার পদ্ধতি:
অনলাইনে লেনদেন করা সম্ভব। যা বিষয়টাকে আরও সহজ করে তুলছে। বিনিয়োগকারীরা এনএভি, ফান্ড পারফরমেন্স এবং কন্ট্রিবিউশন স্টেটাস এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই দেখে নিতে পারবেন।
ট্যাক্স বেনিফিট:
বিনিয়োগকারীরা প্রায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স বেনিফিট লাভ করতে পারেন। আর এই বেনিফিট নেওয়া যাবে সেকশন ৮০সিসিডি(১), ৮০সিসিডি(১বি) এবং ৮০সিসিডি(২)।
advertisement
পিএফ থাকলে কি এনপিএস-এর প্রয়োজন আছে?
ইপিএস-এর অধীনে থাকা পিএফ অবসরকালীন জীবনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই পিফ-এর পাশাপাশি এনপিএস-এ বিনিয়োগ করা বাঞ্ছনীয়। আবার রেকগনাইজড প্রভিডেন্ট ফান্ড এনপিএস-এ ট্রান্সফার করারও সুযোগ থাকে।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
June 05, 2023 6:48 PM IST