আরও পড়ুন: বিজনেস লোন নিতে চাইছেন? আগে জেনে নিন এই ৫ বিষয়!
নতুন নিয়মে কী বলা হয়েছে?
২০২১ সালের ১৬ জুন পেনশন এবং পেনশনভোগী কল্যাণ বিভাগ (DOP&PW) ফ্যামিলি পেনশনের গাইডলাইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ নতুন শর্ত জুড়ে দেয়। এই শর্ত অনুযায়ী, যদি চাকরিজীবীর মৃত্যুর পর পেনশনভোগী সদস্যের বিরুদ্ধে চাকরিজীবীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে বা অন্য কোনও উপায়ে চাকরিজীবীর হত্যার সঙ্গে সে যুক্ত থাকে তবে তার কাছ থেকে পেনশনের পরিষেবা কেড়ে নেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের অন্য সদস্যকে ফ্যামিলি পেনশনের সুবিধা প্রদান করা হবে।
advertisement
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সৈনিক কল্যাণ বিভাগ ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারী মেমোরেন্ডামে থাকা নিয়মগুলির বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
আরও পড়ুন: কম ঝুঁকিতে প্রতি মাসে আয় করতে চান মোটা টাকা? ইনভেস্ট করুন এই কয়েক বিকল্পে!
পুরনো নিয়মে কী লেখা ছিল?
সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস (পেনশন) আইনের, ১৯৭২ আইনের ৫৪-এর উপ-বিধি (11C) অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবী মৃত্যুর পর ফ্যামিলি পেনশনের জন্য যোগ্য পারিবারিক সদস্য বিরুদ্ধে যদি সরকারি কর্মচারী/চাকরিজীবীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে বা অন্য কোনও উপায়ে চাকরিজীবীর হত্যার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে তবে সেক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পেনশন স্থগিত রাখা হত। অর্থাৎ, যতক্ষণ পেনশনভোগী সদস্য দোষী বা নির্দোষ প্রমাণিত না হচ্ছে ততদিন কেউ পেনশনের টাকা পাবে না।
আরও পড়ুন: আপনার শহরে কত টাকায় মিলছে ১ লিটার পেট্রোল ? দেখে নিন...
এই ধরনের পরিস্থিতিতে পেনশনভোগী সদস্যের টাকা আটকে দেওয়া পাশাপাশি ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরিবারের অন্য কোনও সদস্যকেও পেনশনের টাকা দেওয়ার কোনও নিয়ম ছিল না। পাশাপাশি যদি পেনশনভোগী ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হয় তবে পরিবারের পেনশন পরিষেবা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হত। এছাড়া, সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর দিন থেকে দোষী প্রমাণিত হওয়া পর্যন্ত পরিবার যত টাকা পেনশন পেয়েছে তা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সরকারকে ফেরত দিতে হত। দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর ওই ব্যক্তি যদি পরে ছাড়া পেয়ে যায় তবে পেনশনের দেনার ভার তার ঘাড়ে এসে পড়ত।