রেন্ট এগ্রিমেন্ট হল ভাড়াটে এবং বাড়িওয়ালার মধ্যে হওয়া একটি লিখিত চুক্তি যেখানে সংশ্লিষ্ট বাড়ি, ফ্ল্যাট, রুম, এলাকা এবং ভাড়ার বিশদ বিবরণ দেওয়া থাকে। এই চুক্তিতে অনান্য শর্তাবলীও উল্লেখ করা থাকে।
আরও পড়ুন- মৃত্যুর পর ইনস্যুরেন্স ক্লেম রিজেক্ট কেন হয়? বিমা নেওয়ার সময় এগুলি মাথায় রাখুন
১১ মাসের ভাড়ার চুক্তির পেছনে কারণ কী?
advertisement
ভারতীয় রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী, কোনও সম্পত্তি ১২ মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য ভাড়া বা লিজ দেওয়া হয় তবে সেই ভাড়ার চুক্তি বা লিজ চুক্তি সরকারিভাবে রেজিস্টার করতে হবে। কাগজপত্রে এবং
রেজিস্ট্রেশনের খরচ এড়াতে ১২ মাসের যায়গায় ১১ মাসের চুক্তি করা হয় কারণ রেজিস্ট্রেশনের সময় ফি সহ স্ট্যাম্প শুল্কও প্রদান করতে হয়। অন্য দিকে, ১১ মাসের চুক্তির ক্ষেত্রে এই জাতীয় কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা থাকে না।
রেন্ট টেনেন্সি অ্যাক্ট অনুযায়ী ভাড়া
১১ মাসের ভাড়া চুক্তির পরে ভাড়াটে বাড়িওয়ালাকে প্রতি মাসে যা ভাড়া দেয় হয় তা রেন্ট টেনেন্সি অ্যাক্টের অধীনে আসে। ভাড়াটিয়া এই আইনের সুযোগ নিতে পারেন।
রেন্ট টেনেন্সি অ্যাক্টের অধীনে আসার পর ভাড়া নিয়ে যদি কোনও সমস্যা দেখা যায় তবে ভাড়াটিয়া আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই জাতীয় মামলায় রায় ভাড়াটিয়ার পক্ষেই যায়।
স্ট্যাম্প ডিউটি এবং অন্যান্য চার্জ
যদি লিজের চুক্তি ৫ বছরের জন্য হয় তবে ওই ৫ বছরের জন্য ভাড়ার গড়ে বার্ষিক ২ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি ধার্য করা হবে। যদি চুক্তিতে সিকিউরিটি ডিপোজিট উল্লেখ থাকে তবে ১০০ টাকা বেশি চার্জ করা হবে।
আরও পড়ুন- দিনে মাত্র ২৯ টাকা দিলেই ৪ লাখ রিটার্ন!LIC-র এই পলিসি না করা থাকলে এখুনি করে নিন
ভাড়ার চুক্তি যদি ৫ বছরের বেশি এবং ১০ বছরের কম হয় তবে ৩ শতাংশ স্ট্যাম্প ধার্য করা হবে। ১০ বছরের বেশি কিন্তু ২০ বছরের কম সময়ের লিজের চুক্তিতে ৬ শতাংশ স্ট্যাম্প শুল্ক ধার্য করা হবে। এছাড়া ১০০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে নেওয়া হবে।