DMart-এর এই সাফল্য ও অগ্রগতির পিছনে রয়েছেন রাধাকিষণ দামানি। প্রখ্যাত বিনিয়োগকারী রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা তাঁকে নিজের গুরু বলে মনে করতেন। দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন রাধাকিষণ দামানি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। কী তাঁর সাফল্যের রহস্য, দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
রাধাকিষণ দামানি মাত্র দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু তাঁর দক্ষতা এবং মানসিক জোর তাঁকে সফল করেছে। স্টক মার্কেটে নাম তোলা দামানি যখন নিজের ব্যবসা শুরু করেন, তখন ব্যর্থতার মুখই দেখতে হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে, তিনি প্রথম নেরুলের ফ্র্যাঞ্চাইজি নেন। সেটি ব্যর্থ হয়। এর পরে তিনি বোরওয়েল তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই কাজটিও শেষ করা যায়নি।
এর পরে, ২০০২ সালে তিনি মুম্বইতে DMart-এর প্রথম দোকান খোলেন। তখনই সিদ্ধান্ত নেন, জমি ভাড়া নিয়ে তিনি DMart স্টোর খুলবেন না। বর্তমানে দেশে DMart-এর তিনশোটিরও বেশি দোকান রয়েছে। ১১টি রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে এই সম্পত্তি। সবই দামানিদের নিজস্ব সম্পত্তি।
আরও পড়ুন-এই আদিবাসী জনজাতি বড়ই অদ্ভুত; স্নানে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা, আর যা যা হয়, শুনলে অবাক হবেন !
কিন্তু এই দোকানের মূল বৈশিষ্ট্যই হল সস্তার সামগ্রী। রাধাকিষণ দামানি ভাড়া করা জায়গায় দোকান না খোলায় অনেকটা সাহায্য হয়। নিজের জমিতে দোকান তৈরি করায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর টাকা দেওয়ার চিন্তা থাকে না। এর ফলে পণ্য থেকে লাভ তোলার আকাঙ্ক্ষাও কমে যায়। তাই DMart ৫ থেকে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ করতে পারে। এটাই ক্রেতাদের ডিসকাউন্ট বা ছাড় হিসেবে দেওয়া হয়।
তাছাড়া, DMart দ্রুত স্টক শেষ করে ফেলে। তাদের লক্ষ্য থাকে ৩০ দিনের মধ্যে সমস্ত পণ্যের সম্ভার শেষ করা এবং নতুন পণ্যের বরাত দেওয়া।
শুধু তাই নয়, DMart অন্য সংস্থাগুলিকে খুব দ্রুত প্রাপ্য মিটিয়ে দেয়। এই কারণে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলিও DMart-কে বেশ খানিকটা কমে পণ্য সরবরাহ করে। এই বিশেষ ছাড় আবার ক্রেতাদের দেওয়া হয়। তাতে আখেরে আয় বাড়ে।