ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে বাড়ি বা সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাঙ্ক তাদের অর্থ পুনরুদ্ধার করতেই পারে। ব্যাঙ্কগুলিকে এই অধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে এটাকে শেষ বিকল্প হিসাবেই ধরা হয়। সম্পত্তি যাতে নিলামে তুলতে না হয়, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করে ব্যাঙ্ক। একটা বিষয় মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, ব্যাঙ্ককে যতক্ষণ না ঋণের টাকা শোধ করা হচ্ছে ততক্ষণ সম্পত্তির উপর আইনি উত্তরাধিকারীর কোনও অধিকার নেই। আবার এটাও সত্যি যে আইনি উত্তরাধিকারীকে ঋণ শোধ করার জন্য বাধ্য করতে পারে না ব্যাঙ্ক।
advertisement
ঋণ শোধের দায় আইনি উত্তরাধিকারীর উপরেই বর্তায়
যদি একজন ঋণগ্রহীতা সম্পূর্ণরূপে ঋণ পরিশোধ না করেই মৃত্যুবরণ করেন , তাহলে সহ-ঋণ গ্রহীতা বা তার আইনি উত্তরাধিকারীর (Legel Heir) উপরই এই ঋণ শোধের দায় এসে পড়ে। এছাড়া গ্যারেন্টার (Guarantor) থাকলে তাঁকেও সুযোগ দেওয়া হয়। একান্তই ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম হলে সেটা ব্যাঙ্ককে জানাতে হয়।
আরও পড়ুন: LIC IPO: PMJJBY সুবিধাভোগীদের জন্য শেয়ার মূল্যে ছাড় দেওয়া হবে! জানুন বিশদে!
এই অবস্থায় ব্যাঙ্ক পরিবারের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী ঋণের টাকা আদায়ের আপ্রাণ চেষ্টা করে। প্রয়োজনে ইএমআই কমিয়ে ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক পরিবারকে পূর্ণ সহযোগিতা করে। এছাড়া আরও একটি বিকল্প রয়েছে। বৈধ উত্তরাধিকারী যদি ঋণ শোধ করতে অক্ষম হন, তাহলে অন্য উত্তরাধিকারীর উপর সেই দায়িত্ব বর্তায়। তাঁর আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী ঋণের সামঞ্জস্য বিধানের বিকল্প আছে।
সম্পত্তি নিলাম করা শেষ বিকল্প
এরপরেও যদি ঋণ পরিশোধের কোনও পথ খুঁজে না পাওয়া যায়, তখন সম্পত্তি নিলামে তোলে ব্যাঙ্ক। তার আগে আইনি উত্তরাধীকারীদের ফ্লেক্সি পেমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের বিকল্প দেওয়া হয়। কিন্তু ৯০ দিন পর্যন্ত যদি তাঁদের থেকে কোনও সাড়া না মেলে বা ঋণের টাকা না মেটানো শুরু করে তখন সেই সম্পত্তিকে এনপিএ বা নন পারফর্মিং অ্যাসেট (NPA)হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি সহ-ঋণগ্রহীতার (Co-Borrowers) কাছে লিখিত নোটিস পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে যদি সাড়া না মেলে তখন শুরু হয় নিলাম প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: Mutual Fund: ৫ স্টার রেটিং-সহ মিউচুয়াল ফান্ডের সেরা ৫ স্কিম, মালামাল হওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা
লোনের বিমা থাকলে সমস্যা হয় না
গৃহঋণ নেওয়ার সময় সেই ঋণ যদি ব্যাঙ্ক থেকেই বিমা করানো হয়, তাহলে পরিবারকে এই সমস্যায় পড়তে হয় না। সেই কারণে হোম লোন ইনস্যুরেন্স পলিসি (Home Loan Insurance Policy) খুবই জনপ্রিয়। ঋণের মেয়াদ কালে কোনও অঘটন ঘটলে, বিমা কোম্পানি ঋণদাতার হয়ে ব্যাঙ্কের বকেয়া টাকা পরিশোধ করে দেয়। বাড়ি বা সম্পত্তিও আইনি উত্তরাধিকারীর কাছে ফেরত যায়।