TRENDING:

Education Loan: এডুকেশন লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই এই কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখে নেবেন

Last Updated:

Education Loan: কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঋণের সুযোগ মিলবে?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: নিম্নবিত্ত অথবা মধ্যবিত্ত পরিবারে সন্তানদের উচ্চশিক্ষাই আর্থিক উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে ধরা হয়। কারণ অর্থনৈতিক উন্নতির বিকল্প ব্যবস্থা বা ব্যবসা চালু করার মতো আর্থিক স্বচ্ছলতা খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়। তাই উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সহজতম উপায় হিসেবে ধরা হয় উচ্চশিক্ষাকে। কিন্তু একটি নিম্নবিত্ত অথবা মধ্যবিত্ত পরিবার তার রোজকার খরচ-খরচা বা মৌলিক চাহিদা মিটিয়ে সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য খরচ যোগাড় করতে প্রায়শই হিমশিম খায়। ফলে দ্বারস্থ হতে হয় ব্যাঙ্কের। আবেদন করতে হয় শিক্ষা ঋণের (Education Loan) জন্য।
advertisement

আরও পড়ুন: Bank Of Baroda-র গ্রাহকদের জন্য সুখবর! এবার কার্ড ছাড়াই এটিএম থেকে তুলতে পারবেন টাকা ....

কারা শিক্ষা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন?

কারা কারা শিক্ষা ঋণ নিতে পারবেন, তা নির্ভর করে কিছু নির্দিষ্ট মাপকাঠির উপর। পড়ুয়া লোন চাইলে প্রথমে দেখা হয় নাগরিকত্ব। এর পর ওই পড়ুয়া কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোন পাঠ্যক্রম বা কোর্স করতে চায়, লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে সেটাও খতিয়ে দেখা হয়। তাই দেখে নেওয়া যাক, কারা শিক্ষা ঋণ পাওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠিগুলি (Eligibility Criteria) কী কী। 

advertisement

নাগরিকত্ব:

  • ভারতীয় নাগরিক। 
  • অনাবাসী ভারতীয় বা এনআরআই (NRI)।
  • ভারতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিক  বা ওসিআই (OCI)।
  • ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি বা পিআইওএস (PIOs)।
  • বিদেশে ভারতীয় পিতা-মাতার কাছে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, যারা ভারতে পড়াশোনা করতে চায়।
  • advertisement

আরও পড়ুন: আজ কলকাতায় ১ লিটার পেট্রোলের দাম কত বাড়ল? দেখে নিন এখানে....

কোন পাঠ্যক্রমের জন্য আবেদন করা যাবে?

  • ইউজিসি-স্বীকৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পাঠ্যক্রম।
  • ইউজিসি-স্বীকৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম।
  • ডক্টরাল কোর্স এবং পিএইচডি।
  • advertisement

  • ৬ মাস বা তার বেশি মেয়াদের সার্টিফিকেট কোর্স।
  • চাকরি ভিত্তিক কোর্স।
  • কারিগরি বা ডিপ্লোমা বা প্রফেশনাল কোর্স। নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন/শিপিং অনুমোদিত অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পাইলট ট্রেনিং, শিপিং ইত্যাদি সংক্রান্ত ডিগ্রি অথবা ডিপ্লোমা
  • নামী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত কোনও পাঠ্যক্রম, যা ভারতে পড়ানো হয়
  • advertisement

কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঋণের সুযোগ মিলবে?

  • স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কলেজ।
  • সরকার কর্তৃক সাহায্যপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান
  • পেশাগত প্রতিষ্ঠান।
  • আন্তর্জাতিক কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন: গাড়ি কেনার জন্য আপনি কী লোন পাবেন ? জেনে নিন আগে....

বন্ধকের নিয়ম:

  • সাধারণত ৭.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ধারে বন্ধক লাগে না শুধু কো-বরোয়ার হতে হয় অভিভাবককে
  • ঋণের পরিমাণ ৭.৫ লাখের বেশি জোগাড় করতে হয় থার্ড-পার্টি গ্যারান্টরও তবে ব্যাঙ্ক কিছু ক্ষেত্রে গ্যারান্টর না-ও চাইতে পারেএ ছাড়া অতিরিক্ত হিসেবে ব্যাঙ্ক চাইতে পারে সমমূল্যের সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের স্থায়ী আমানত, ঋণপত্র, সোনা, শেয়ার-সার্টিফিকেট ইত্যাদি শিক্ষা ঋণে কম্পিউটার কেনার খরচ ধরা থাকলে, তা-ও বন্ধক রাখতে হতে পারে
  • আগে বন্ধক রাখা বাড়ি বা সম্পত্তিও শিক্ষা-ঋণে ‘সিকিউরিটি’ হিসেবে দেখানো যায়এ ক্ষেত্রে বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য যাচাই করে ব্যাঙ্ক আগে যে-ঋণ নিতে ওই সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয়েছে, তার পরিমাণ এবং শিক্ষা ঋণের অঙ্ক যোগ করার পরেও যদি সম্পত্তির মূল্য তার থেকে ১০ শতাংশ বেশি হয়, তবে তা ফের বন্ধক রাখা যাবে
  • তবে এ ক্ষেত্রে যে ব্যাঙ্ক শিক্ষা-ঋণ দেবে, তারাই ওই সম্পত্তি ‘টেক ওভার’ করবে ফলে পুরনো ধার ও নতুন শিক্ষা ঋণ-- দু’টিই ওই শিক্ষা ঋণের ব্যাঙ্কে মেটাতে হবে গ্রাহককে

শিক্ষা ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঋণদাতা কী কী বিষয় বিবেচনা করে দেখে?

  • কোর্স এবং কোর্স করার জন্য কোন ইনস্টিটিউশন বেছে নেওয়া হচ্ছে
  • ঋণ হিসেবে কত টাকা প্রয়োজন
  • যে পড়ুয়ার জন্য শিক্ষা ঋণ নেওয়া হচ্ছে, সে পড়াশোনায় কেমন
  • ঋণ শোধ করার ক্ষমতা গ্রাহকের পরিবারের রয়েছে কি না
  • পারিবারিক সম্পত্তি
  • পরিবারের বার্ষিক আয়

উচ্চশিক্ষা নিতে গেলে বা বাইরে পড়তে গেলে সাধারণত আরও আনুষঙ্গিক কিছু খরচও থাকে। যেমন-- টিউশন ফি, হোস্টেলের খরচ, পরীক্ষার ফি, স্টাডি ট্যুর, লাইব্রেরি ফি-সহ আরও নানান ধরনের খরচ থাকে। শিক্ষা ঋণ হিসেবে নেওয়া অর্থ সেই খরচের জন্যও ব্যবহার করা যায়। এমনকী কশান ডিপোজিট বা বিল্ডিং ফান্ড বাবদও ঋণ মেলে। তবে এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া বিল বা রিসিট লাগবে।  

শিক্ষা ঋণ সংক্রান্ত কয়েকটা বিষয় জেনে রাখা ভালো:

শিক্ষা ঋণের কয়েকটি সুবিধাজনক দিক রয়েছে। সেগুলি জেনে রাখলে শিক্ষা ঋণের জন্য আবেদন জানাতে সুবিধা হবে।

  • ১ কোটি পর্যন্ত ঋণের সুবিধা পাওয়া যাবে।
  • লোন পরিশোধের মেয়াদ কাল ১৫ বছর পর্যন্ত থাকবে।
  • ভারতে এবং ভারতের বাইরে অর্থাৎ বিদেশেও পড়াশোনার জন্য শিক্ষা ঋণ পাওয়া যাবে।
  • ভিসার আবেদন জানানোর আগে কিছু ঋণদাতা সংস্থা লোন দেয়।
  • এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে জরুরি নথিপত্র বাড়ি থেকেও সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
  • ব্যাঙ্ক কর্মীদের সন্তানরা এই ঋণের ক্ষেত্রে সাধারণত অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।
  • ছাত্রীদের জন্য কিছু কিছু ব্যাঙ্ক সুদের হারের উপর কিছু ছাড় দেয়।
  • কোর্স শেষ হওয়ার এক বছর পর্যন্ত সময়কালকে মোরেটোরিয়াম পিরিয়ড হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে, অর্থাৎ এই সময়কালের মধ্যে লোন পরিশোধের টাকা দিতে হবে না।
  • সুদের উপর আট বছর পর্যন্ত কর সংক্রান্ত সুবিধা উপভোগ করা যায়।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Education Loan: এডুকেশন লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই এই কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখে নেবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল