ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি এড়িয়ে চলা বাঞ্ছনীয়:
টার্গেট ছাড়াই বিনিয়োগ:
ফিক্সড ডিপোজিট নিরাপদ। কিন্তু তা হলেও বিনিয়োগ পরিকল্পনা ছকেই এগোনো উচিত। অন্যান্য বিনিয়োগ, সঞ্চয় এবং ফিক্সড ডিপোজিট একসঙ্গে পরিকল্পিত ভাবে সাজিয়ে নিলে তা আর্থিক লক্ষ্যকে আরও মজবুত করে। ফিক্সড ডিপোজিটের বিভিন্ন স্কিমের বিষয়ে জেনে নিতে হবে এবং অনলাইনে রিসার্চ করে নিতে হবে। এমনকী কোন ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সুদের হার বেশি দিচ্ছে, সেটাও বিবেচনা করে দেখতে হবে। জরুরিকালীন অবস্থার জন্য টাকা রাখার পাশাপাশি লিক্যুইডিটি, স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদী অথবা স্বল্পমেয়াদী লক-ইন এবং নমনীয় মেয়াদের মতো বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নিজের আর্থিক লক্ষ্যের উপর জোর দিতে হবে। নিজস্ব চাহিদা বুঝে পরিকল্পনা ছকে নিলে লাভের অঙ্ক আরও বাড়ানো সম্ভব।
advertisement
আরও পড়ুন: আদরের টেডি-কে ঘিরেই পল্লবিত হোক ব্যবসা! জেনে নিন খেলনা ব্যবসার নানা দিক!
রিসার্চ ছাড়াই বিনিয়োগ:
ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমের বিষয়ে প্রতিটি ব্যাঙ্কের তরফে শেয়ার করা সমস্ত তথ্য সম্পর্কে পড়াশোনা করে নিতে হবে। এতে কোন ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সর্বাধিক হারে সুদ দিচ্ছে, সেটা বোঝা সম্ভব হবে। আর এই বিষয়টা বুঝে নিয়ে তবেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
বৈচিত্র্যময় পরিকল্পনা না-রাখা:
ফিক্সড ডিপোজিট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে একটার উপর মনোনিবেশ করলে চলবে না। ব্যাঙ্কের সর্বাধিক সুদের হার বিচার করে একাধিক এফডি-তে বিনিয়োগ করলে দুর্দান্ত রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। বিনিয়োগের লক্ষ্য স্থির করার সময় দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের তুল্যমূল্য বিচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: খানিকটা স্বস্তি অশোধিত তেলের দামে! কলকাতায় কত হল পেট্রোল ডিজেলের দাম দেখে নিন
বিনিয়োগের অগ্রগতির উপর লক্ষ্য না-রাখা:
এফডি-তে বিনিয়োগ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। এমনকী শুধুমাত্র এর মেয়াদপূর্তির তারিখের কথা ভাবলেও হবে না। বরং প্রতিদিন এফডি-তে বিনিয়োগের অগ্রগতির উপর নজরও রাখতে হবে।
মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে এফডি প্রতিরোধী, এমন ভাবনা:
অনেকেই ভাবেন মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব ফিক্সড ডিপোজিটের উপর পড়বে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ এফডি-ও মুদ্রাস্ফীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। এফডি-তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যখন উচ্চ সুদের হার প্রদান করা হবে, তখন সেই সুবিধা গ্রহণ করা উচিত।