TRENDING:

সঞ্চয় না বিনিয়োগ ? কোনটাই বেশি লাভবান হবেন, জেনে নিন বিস্তারিত....

Last Updated:

উপার্জনের সঠিক ব্যবহারেই সম্পদ বৃদ্ধি পায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়ে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: টাকা কে না চায়! বাড়তি রোজগারের প্রত্যাশায় সকলেই দৌড়ে চলেছে সারাক্ষণ। কিন্তু যা-ও বা রোজগার হয়, তার কিছুটা চলে যায় আয়কর দিতে, আর কিছুটা দৈনন্দিন খরচে। তার সঙ্গে এ-দিক সে-দিক টুকটাক খরচ তো লেগেই থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ মানুষের চিন্তা হল, এ ভাবে চললে সঞ্চয় (Savings) হবে কী করে!
advertisement

আরও পড়ুন: বুধবারের মহাধামাকা! কলকাতায় সোনার দামে জোরদার পতন, ২১ হাজার সস্তা

এর একটাই উত্তর, বিনিয়োগ (Investment)। বিনিয়োগ করা সঞ্চয় করার চেয়ে হাজার গুণ ভালো। এতে আখেরে লাভ বিনিয়োগকারীরই হয়। যদি কেউ আর্থিক ভাবে সুরক্ষিত হতে চান, অতিরিক্ত সম্পদ তৈরি করতে চান, দুঃসময় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে চান, সময়কে কাজে লাগাতে চান, তা হলে সঞ্চয় নয়, বিনিয়োগই হল আদর্শ পথ। যা এই মুহূর্ত থেকে শুরু করা উচিত। উপার্জনের সঠিক ব্যবহারেই সম্পদ বৃদ্ধি পায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়ে। ফলে বিনিয়োগকারীর অর্থও বৃদ্ধি পায়। ধরা যাক, কেউ যদি আজকে ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তা হলে আগামী ৫ বছরে তার মূল্য এক থাকবে না, বরং বাড়বে। সুতরাং সম্পদ বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।  

advertisement

আরও পড়ুন:  প্যাকেটের খাবারে বাড়ছে জিএসটি; কোন কোন জিনিস কিনতে এবার বাড়তি পয়সা গুনতে হবে?

মাঝারি সঞ্চয় বা ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্যও মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) হল আদর্শ বিনিয়োগের প্ল্যাটফর্ম। প্রায় প্রতিটি বিনিয়োগকারীরই (সে ছোট হোক বা বড়)  একটি সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকে। সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যে কেউ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে হবে, তার কোনও মানে নেই। বা ধনী লোকেরাই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন, এমন ভাবারও কোনও কারণ নেই। সব খরচ-খরচা বাদ দিয়ে যে কেউ মাত্র ৫০০ টাকাও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করলে, তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। আর যেটা খুবই ভালো।  

advertisement

এক জন বিনিয়োগকারী খুব সহজেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। সহজতর লেনদেন, বিনিয়োগ, পর্যালোচনা, এবং মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম থেকে রিডিম করার প্রক্রিয়াটা খুবই সহজ। যাঁরা ছোট অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে চান বা প্রথম বার বিনিয়োগ করতে আসছেন তাঁরা দেখে নেন, সহজ লিক্যুইডিটি, সর্বাধিক স্বচ্ছতা, অ্যাকাউন্টের সময়মতো বিবৃতি বা স্টেটমেন্ট এবং ট্যাক্স বেনিফিটগুলি। এর সব ক’টাই মিউচুয়াল ফান্ডে উপলব্ধ। বিনিয়োগের অঙ্ক ৫০০ টাকা হোক বা ৫ কোটি, সবার জন্যই বৈচিত্র্যপূর্ণ পোর্টফোলিওর ব্যবস্থা আছে মিউচুয়াল ফান্ডে। শুরুর পরিমাণ যতই ছোট হোক বা উদ্দেশ্যগুলি যতই পরিমিত হোক না-কেন, বিনিয়োগকারীর জন্য সঠিক মিউচুয়াল ফান্ডের খোঁজ দেবেন ফান্ড ম্যানেজাররা। আর এটাও মনে রাখতে হবে, শতাংশের টার্মে রিটার্ন যে কোনও বিনিয়োগ পরিমাণের ক্ষেত্রে অভিন্ন থাকে। তাই এখন সঞ্চয়ের অভ্যাস বিনিয়োগে বদলে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ।  

advertisement

ধরা যাক, ৫০ ওভারের একটি ক্রিকেট ম্যাচে প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই ৫টা উইকেট পড়ে গেছে। এ বার ৬ নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রিজে এসেছেন। তা হলে এখন তাঁর মূল লক্ষ্য কী হবে? তাঁর প্রথম কাজই হবে, এটা নিশ্চিত করা যে, আর উইকেট যেন না-পড়ে যায়। ঠিক সে রকম ভাবেই মাসিক রোজগারের অর্থ হাতে পাওয়ার পর আয়কর এবং দৈনন্দিন খরচের টাকা বাদ দিয়ে বাকি যা বেঁচে থাকে সেটা হল অনেকটা ওই ম্যাচের উইকেটের অবস্থার মতো। এ বার এখনও ৪৫ ওভার হাতে আছে। তাই ওই ৬ নম্বর ব্যাটসম্যানকেই রান বাড়াতে হবে। ফলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক তা-ই, কারণ হাতে থাকা অর্থ বিনিয়োগ না-করলে সম্পদ বাড়বে না অর্থাৎ এটাই স্কোর বাড়ানোর প্রক্রিয়া।

advertisement

এ বার ব্যাটসম্যান যদি ক্রমাগত ডিফেন্স করে চলে, অর্থাৎ উইকেট বাঁচাতে খেলা থেকে সব রকম শট ছেঁটে ফেলে, তাতে উইকেট হয়তো বাঁচবে, কিন্তু যা স্কোর হবে, সেটা খুবই নিম্নমানের। তাই প্রতিপক্ষের দিকে একটা লড়াই ছুঁড়ে দেওয়ার মতো ভদ্রস্থ স্কোর করতে হলে, ব্যাটসম্যানকে কিছু ঝুঁকি নিতেই হবে। সে ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে শট হোক কিংবা কাট বা ড্রাইভই হোক, আর তেমন বল পেলে রিভার্স স্যুইপও মারা যেতে পারে। একই ভাবে একটা আর্থিক লক্ষ্য পূরণের জন্য বেশি পরিমাণ অর্থ জমা করতে, মুদ্রাস্ফীতিকে টেক্কা দিতে বিনিয়োগকারীকেও কিছু নির্দিষ্ট ঝুঁকি নিতেই হয়। হ্যাঁ, অবশ্যই সেটা ক্যালকুলেটিভ রিস্ক। কিন্তু ঝুঁকি নেওয়ার সাহসটা বিনিয়োগকারীকে রাখতেই হবে। বিনিয়োগের মানেই হচ্ছে ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নেওয়া এবং সেগুলিকে পরিচালনা করা। তবে সেগুলিকে এড়িয়ে যাওয়া একেবারেই নয়।

আরও পড়ুন: আটার পরে দাম বাড়ছে চালেরও, হিমশিম দশা মধ্যবিত্তের!

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

সঞ্চয়ের অভ্যাস বিনিয়োগে বদলে ফেলতে হলে ক্রিকেটের ওই ম্যাচের ৬ নম্বর ব্যাটসম্যানের মতো স্ট্র্যাটেজি নিতে হবে। ক্রিজে টিকে থাকার পাশাপাশি রানও বাড়িয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যাটসম্যান বা বিনিয়োগকারীকে কিছু ক্যালকুলেটিভ রিস্কও নিতেই হবে। তবে হ্যাঁ, ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলা মানে বেপরোয়া হয়ে ওঠা নয়। বাউন্সার এলে সেগুলোকে অযথা হুক বা পুল করতে না-গিয়ে তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়া বিনিয়োগের জন্য খারাপ কৌশল। তাই দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলি পূরণ করতে হলে সঞ্চয় করার চেয়ে বিনিয়োগ করাই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
সঞ্চয় না বিনিয়োগ ? কোনটাই বেশি লাভবান হবেন, জেনে নিন বিস্তারিত....
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল