আরও পড়ুন: দিনে কমপক্ষে ৫, ১০ টাকা বিনিয়োগ করুন, মনে করাবে অ্যাপ, ডাউনলোড করেছেন?
১। সুদের হার: ফিজিক্যাল গোল্ডের তুলনায় সভরেইন গোল্ড বন্ডের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। বিনিয়োগকারীর প্রাথমিক বিনিয়োগের উপরে প্রতি বছর আড়াই শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা হয়। খুব সহজেই এই বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জে ‘ট্রেড’ করা যায় এবং হস্তান্তরিতও করা যায়।
advertisement
২। জিএসটি লাগবে না: ডিজিটাল পণ্য কেনার সময় পরোক্ষ কর লাগু হয় না। কারণ সোনা এই সিকিউরিটিগুলির অন্তর্নিহিত হিসাবে কাজ করে। এর ফলে সরাসরি মোট দামের ৩ শতাংশ টাকা বাঁচানো যায়।
আরও পড়ুন: ফের ৫৩ হাজার টাকা পেরিয়ে গেল সোনা, দেখে নিন আজ ১০ গ্রামের দাম কত কলকাতায়
৩। বেচা-কেনা সহজ: ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকলেই ডিজিটাল পণ্য কেনা যায়। বাজারে যে কোনও সময় এর কেনাবেচাপ সহজ।
৪। বিশুদ্ধতা সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই: বাজারে ওজন অনুযায়ী সোনার মূল্য যা হয়, বন্ডের ক্ষেত্রেও সেই মূল্যই থাকে। বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে সুদ সমেত নগদ টাকা বিনিয়োগকারী অ্যাকাউন্টে জমা হয়। বরং ফিজিক্যাল সোনা কিনতে গেলে তা যাচাই করে নিতে হয়। নাহলে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকে। ডিজিটাল সোনায় সেই ভয় নেই। তাই বিশুদ্ধতা সম্পর্কে ন্যূনতম সন্দেহও থাকে না।
আরও পড়ুন: পেট্রোল-ডিজেলের নতুন রেট জারি, আপনার শহরে কত টাকায় মিলছে জ্বালানি
এবার দেখে নেওয়া যাক ফিজিক্যাল সোনা কী দিতে পারে যা ডিজিটাল সোনা দিতে পারে না। প্রথমত, গয়না। হ্যাঁ, ভারতে সোনা শুধু বিনিয়োগ মাধ্যম নয় তার চেয়েও বেশি কিছু। এ দেশে হলুদ ধাতুকে শুভ মনে করা হয়। তাই যে কোনও পার্বণ বা অনুষ্ঠানে সোনার গয়না কেনাই রীতি। তাছাড়া সোনার গয়না ভারতীয় মহিলাদের সাজের অন্যতম অঙ্গ। ডিজিটাল সোনায় এই সুবিধা মিলবে না।
দ্বিতীয়ত, ভারতে এখনও বহু মানুষ আধুনিক প্রযুক্তি থেকে শত হস্ত দূরে। শুধু তাই নয়, এই প্রযুক্তির জাঁতাকলে পড়তে তাঁদের আগ্রহও নেই। তাঁরা এখনও পুরনো ধ্যান-ধারণাতেই বিশ্বাসী। ফিজিক্যাল সোনা তাঁদের মালিকানার স্বাদ দেয়। তাঁরা নিরাপদ বোধ করেন। ডিজিটাল সোনার মাধ্যমে এই অনুভূতির বদল আনা প্রায় অসম্ভব।
যুক্তি দিয়ে বিচার করলে ফিজিক্যাল সোনার চেয়ে ডিজিটাল সোনা বহু যোজন এগিয়ে। ফিজিক্যাল সোনা স্থানান্তর করতে সময় লাগে। চুরি যাওয়ার ভয় থাকে। ডিজিটাল সোনায় সেসব নেই। তাই আলঙ্কারিক প্রয়োগ এবং বিনিয়োগের তফাত বুঝতে হবে। ডিজিটাল পণ্য শুধু স্মার্ট বিনিয়োগের মাধ্যম নয়, এটা এমন একটা বিকল্প যা কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতি কমায় এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।