কোনও পরিবারের জন্য বাজেট তৈরি করতে বসলে সবার আগে ‘শিশুর শিক্ষার জন্যে সঞ্চয়’-এর মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। শিশুর শিক্ষায় পিতামাতার ভূমিকা অপরিসীম। শিশুর মানসিক বিকাশ, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শারীরিক স্বাস্থ্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার বাইরে এই বিষয়গুলিও মাথায় রাখতে হয়।
আরও পড়ুন: গরমে ঘর ঠান্ডা রাখে AC ছাড়াই, এই কয়েক জিনিসের ব্যবসা করে হতে পারেন কোটিপতি!
advertisement
সুতরাং একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে যদি কেউ সন্তানের শিক্ষার জন্যে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আলাদা রাখতে চান তাহলে তাঁর কোথায় বিনিয়োগ করা উচিত? দেখে নেওয়া যাক আর্থিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং সিদ্ধান্ত।
মিউচুয়াল ফান্ডে এসআইপি: বিনিয়োগকারী ধীরে ধীরে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে এসআইপির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন। এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বড় মূলধন তৈরি হবে। পরিকল্পিতভাবে আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের সবচেয়ে ভাল বিকল্প এটাই। এসআইপি-তে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বাজারের অস্থিরতার প্রভাব কমানো যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে উচ্চতর রিটার্ন তৈরি করতে সাহায্য করে।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা সরকার সমর্থিত ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প যা ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ অভিযানের অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হল কন্যা সন্তানের কল্যাণ-প্রচার। পাশাপাশি পিতামাতাকে মেয়ের শিক্ষা এবং বিয়ের খরচের জন্য সঞ্চয় করতে উৎসাহিত করা।
ফিনএজ-এর চিফ বিজনেস অফিসার অনিরুদ্ধ বসু বলছেন, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে সন্তানের শিক্ষার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ মূলধন তৈরি করা যায়। এসব ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগই সবচেয়ে ভাল। প্রথম দিকে স্মল ক্যাপ, মিড ক্যাপ বা মাল্টি ক্যাপে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ শুরু করে ম্যাচিউরিটির এক বা দুই বছর আগে সিস্টেমেটিক ট্রান্সফার প্ল্যানগুলি ব্যবহার করে মূলধনকে ঝুঁকিমুক্ত করাই সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি। ফিসডম-এর রিসার্চ প্রধান নীরব কারকেরাও সন্তানের শিক্ষার জন্যে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের কথাই বলছেন। তাঁর কথায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। অন্তত সাত থেকে দশ বছর আগে। তবেই মোটা টাকা জমবে, ভাল রিটার্নও মিলবে।