জমানো টাকা ভাঙানোর কথা মাথায় আসতে পারে। কিন্তু সেটা লাভজনক নয়। তা-হলে উপায়? গোল্ড লোন কিংবা সম্পত্তির বিপরীতে ঋণ হতে পারে এর উত্তর। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে জরুরি আর্থিক প্রয়োজনে এই দুটোর মধ্যে কোনটা ভালো? দেখে নেওয়া যাক সেই বিষয়টাই।
আরও পড়ুন: নতুন বছরের জন্য বড় সুখবর! PPF, NSC-সহ এই সেভিংস স্কিমে বাড়ল সুদের হার
advertisement
জামানত:
গোল্ড লোন কিংবা সম্পত্তির বিপরীতে ঋণ গ্রহণকে সিকিয়োর্ড লোন বলা হয়। কারণ এখানে সম্পদ জামানত হিসেবে কাজ করে। ঋণের পরিমাণ (সুদ এবং অন্যান্য প্রযোজ্য চার্জ সহ) সম্পূর্ণ পরিশোধ না-হওয়া পর্যন্ত সেই সম্পদ ধরে রাখে ঋণদাতারা। যদি ঋণ গ্রহীতা কোনও কারণে ঋণ পরিশোধ করতে না-পারেন, তাহলে ঋণের পরিমাণ পুনরুদ্ধারে ব্যাঙ্ক সেই জামানত ব্যবহার করবে।
যেহেতু সম্পত্তির বিপরীতে ঋণ এবং গোল্ড লোন উভয়ই সুরক্ষিত ঋণ, তাই সেগুলি পেতে ঋণদাতাদের কাছে জামানত হিসাবে কোনও সম্পদ বন্ধক রাখতে হবে। সোনার ঋণের জন্য, গয়না এবং কয়েনের আকারে সোনার জিনিসপত্র বন্ধক রাখতে হয়। অন্য দিকে লোন এগেনস্ট প্রপার্টি-র জন্য, বাণিজ্যিক বা আবাসিক সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: মোমোর স্বাদে গন্ধরাজ চিকেন থেকে সোয়া-মাটন-ফিশ, মোমো আন্টির দোকানে উপচে পড়া ভিড়
সুদের হার:
গোল্ড লোনে সুদের হার স্থির। অন্য দিকে লোন এগেনস্ট প্রপার্টিতে ফ্লোটিং এবং স্থির, উভয় সুদের হারেই ঋণ পাওয়া যায়। গোল্ড লোনে সুদের হার ৯.২৪ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। সেখানে সম্পত্তির বিপরীতে ঋণে সুদের হার ৯.৬ শতাংশ থেকে ১১.৫ শতাংশ পর্যন্ত পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: পাখি শিকার করতে এসে বিপাকে পাইথন ! বিষয়টি দেখলেই চক্ষু চড়ক গাছ
ঋণ মঞ্জুর হওয়ার সময়:
গোল্ড লোন দ্রুত এবং সহজে পাওয়া যায়। জরুরি ভিত্তিতে নগদের প্রয়োজন হলে এটা আদর্শ। ন্যূনতম নথিপত্র প্রয়োজন হয়। তাৎক্ষণিক ঋণের মতো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যায়। অন্য দিকে এলএপি-র ঋণ পেতে কিছুটা সময় লাগে। ঋণদাতারা নথিপত্র যাচাই করেন। সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির একাধিক মালিকানা থাকলে এনওসি জমা দিতে হয়। এতে আরও সময় লেগে যায়।
প্রসেসিং ফি:
ঋণ দেওয়ার সময় একটা চার্জ নেওয়া হয়। এটাকেই প্রসেসিং ফি বলে। ঋণের পরিমাণের উপর ২ শতাংশ পর্যন্ত প্রসেসিং ফি নেওয়া হতে পারে। এমন কিছু সংস্থা রয়েছে যেমন - মানাপ্পুরাম ফিনান্স লিমিটেড। যারা ঋণ প্রক্রিয়া করার জন্য কোনও রকম চার্জ নেয় না।