অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন যে, ৩০টি স্কিল ইন্ডিয়া আন্তর্জাতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে এবং লাখ লাখ যুবকদের দক্ষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ৪.০ চালু করা হবে। ২০২১ সালে সরকার দেশের যুবকদের জন্য ৩০০টিরও বেশি কোর্স উপলব্ধ করে, কর্মসংস্থানযোগ্য দক্ষতা ক্ষমতায়নের জন্য তার ফ্ল্যাগশিপ স্কিলিং স্কিম প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার তৃতীয় ধাপ চালু করেছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই স্কিমের সকল খুঁটিনাটি।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রেমের গুনগুন গুঞ্জনেই লুকিয়ে টাকার ঝনঝন, শুনতে পাচ্ছেন কি এই V-Day-তে?
প্রধানমন্ত্রী প্রণাম প্রকল্পের উদ্দেশ্য -
- এই স্কিমের লক্ষ্য রাসায়নিক সারের উপর ভর্তুকির বোঝা কমানো, যা পূর্ববর্তী বছরের ১.৬২ লাখ কোটি টাকার তুলনায় ২০২২-২৩ সালে ৩৯% বৃদ্ধি পেয়ে ২.২৫ লাখ কোটি টাকা হতে পারে।
- এর লক্ষ্য রাসায়নিক সার ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করা এবং টেকসই কৃষি অনুশীলনের প্রচার করা।
আরও পড়ুন: শুরুতেই সুপার হিট এলআইসি-র এই স্কিম, ১৫ দিনে বিক্রি ৫০ হাজার, আপনি নিয়েছেন?
পিএম প্রণাম স্কিমের প্রয়োজন -
- সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সম্প্রতি সারের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। ইউরিয়া, এমওপি (মিউরেট অফ পটাশ), ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) এবং এনপিকেএস-এর (নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম) সম্মিলিত চাহিদা ২১% বেড়ে ৫২৮.৮৬ এলএমটি বা লাখ মেট্রিক টন থেকে ৬৪০.২৭ এলএমটি হয়েছে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ সালের মধ্যে।
- বিগত ৫ বছরে সারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ভর্তুকির সামগ্রিক ব্যয় বেড়েছে। চলতি বছরে (২০২২-২৩), সরকার ১.০৫ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, কিন্তু সার মন্ত্রী বলেছেন যে, চলতি বছরে সার ভর্তুকি ২.২৫ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে৷
- পিএম প্রণাম স্কিম রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে চায় এবং এই ভাবে রাজকোষের উপর বোঝা কমাতে চায়। এটি বিগত কয়েক বছরে বিকল্প সার বা সারের সুষম ব্যবহার প্রচারে সরকারের ফোকাসের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ।
পিএম প্রণাম স্কিমের বৈশিষ্ট্য -
- সার প্রকল্পের বিভাগ দ্বারা পরিচালিত স্কিমগুলির অধীনে বিদ্যমান সার ভর্তুকি সঞ্চয় দ্বারা এই প্রকল্পের অর্থায়ন করা হবে এবং এর জন্য আলাদা বাজেট থাকবে না।
- ৫০% ভর্তুকি সঞ্চয় অর্থ সঞ্চয়কারী রাজ্যকে অনুদান হিসাবে দেওয়া হবে।
- রাজ্যগুলি ব্লক, গ্রাম এবং জেলা স্তরে বিকল্প সার উৎপাদন এবং প্রযুক্তিগত সার ইউনিটগুলির প্রযুক্তি গ্রহণ সম্পর্কিত সম্পদ তৈরির জন্য প্রকল্পের অধীনে প্রদত্ত অনুদানের ৭০% ব্যবহার করতে পারে।
- রাজ্যগুলি অনুদানের অর্থের অবশিষ্ট ৩০% পঞ্চায়েত, কৃষি উৎপাদনকারী সংস্থা, কৃষক এবং সচেতনতা তৈরি এবং সার ব্যবহার হ্রাসে জড়িত স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহিত করতে ব্যবহার করতে পারে।
- সরকার একটি নির্দিষ্ট বছরে একটি রাজ্যের ইউরিয়া হ্রাস বা বৃদ্ধিকে গত ৩ বছরে ইউরিয়ার গড় ব্যবহারের সঙ্গে তুলনা করবে।
- সার মন্ত্রকের ড্যাশবোর্ড, IFMS বা ইন্টিগ্রেটেড ফার্টিলাইজার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ডেটা রাজ্যের ইউরিয়া খরচের ডেটা সংগ্রহ করতে ব্যবহার করা হবে।
পিএম প্রণাম স্কিমের সুবিধা -
- এই স্কিমটি স্পষ্টভাবে রাসায়নিক সারের ব্যবহারকে কম করতে চালু করা হয়েছে।
- এটি প্রাকৃতিক পুষ্টি সহ অন্যান্য নিউট্রিয়েন্ট ও সার ব্যবহারে উৎসাহিত করবে।
- রাসায়নিক সারের কম ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে মাটির গুণমান উন্নত করতে পারে। এটি ভারতীয় কৃষির ফলন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।
- রাসায়নিক সারের অত্যধিক এক্সপোজার ডিএনএ ক্ষতির কারণে ক্যানসার এবং আরও নানা রোগের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এটি একটি নিরাপদ কাজের পরিবেশ প্রচার করবে।
- রাসায়নিক সারের কারণে পরিবেশ দূষণ জলাশয়কে দূষিত করতে পারে, যার ফলে পানায় জলাশয় ছেয়ে যায় এবং তা জলজ বাস্তুতন্ত্রের জীবনকে প্রভাবিত করে। এই প্রকল্পটি পরিবেশের ক্ষতি প্রতিরোধ করবে।
পিএম প্রণাম প্রকল্পটি কৃষি শিল্পের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে কারণ এটি প্রাকৃতিক চাষকে উৎসাহিত করবে, ভর্তুকির বোঝা কমিয়ে দেবে, ফলন বাড়াবে এবং রাজ্যগুলিকে এই লক্ষ্যে উৎসাহিত করবে। জানা গিয়েছে যে, মন্ত্রক ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের মতামত অন্তর্ভুক্ত করার পর এর খসড়াটি সম্পূর্ণ করা হবে। সরকার এখনও অবশ্য পিএম প্রণাম স্কিমের লঞ্চের তারিখ নির্ধারণ করেনি।